অসুস্থ হাসান আজিজুল হককে আনা হচ্ছে ঢাকায়
২১ আগস্ট ২০২১ ১০:৪৫
রাজশাহী: প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
শনিবার (২১ আগস্ট) সকাল সোয়া ১০টার দিকে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশাসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, হাসান আজিজুল হক কোমরে ব্যথা পেয়ে প্রায় একমাস ধরে অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় শয্যাশায়ী। বাথরুমে পড়ে গিয়ে তিনি কোমরে ব্যথা পান। এ অবস্থায় তিনি কাছের মানুষজনকেও চিনতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন তার ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ হাসান মৌলী।
ড. ইমতিয়াজ হাসান বলেন, ‘প্রায় এক মাস আগে বাবা বাথরুমে পড়ে যান। এতে তিনি কোমরে ব্যথা পান। পড়ে গিয়ে যেখানে ব্যথা পেয়েছিলেন সেখানে এক্স-রে করানো হয়েছে। সেখানে হালকা ফ্যাকচার ধরা পড়েছে। এরপর থেকে তিনি বিছানাগত। বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। শরীরে লবণের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এ কারণে কাউকে চিনতেও পারছেন না। অনেকটা ঘোরের মধ্যে রয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আটজন চিকিৎসক বাবার চিকিৎসায় নিয়োজিত রয়েছেন। তারা বাসায় এসে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। চিকিৎসকের পরামর্শমতো তার বাবার চিকিৎসা বাড়িতেই চলছে। চিকিৎসকরা বলেছেন কোমরের ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।’ তিনি তার বাবার সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রত্যাশা করেন।
ড. ইমতিয়াজ হাসান বলেন, বার্ধক্যজনিত সমস্যা ছাড়াও আগে থেকেই তার হার্টে সমস্যা, ডায়াবেটিসও রয়েছে। বর্তমানে তিনি বেশি ভুগছেন হাইপোন্যাট্রিমিয়ায়। এটা হচ্ছে শরীরে লবণের ঘাটতি। লবণের ঘাটতি পূরণে তাকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে, লবণের ট্যাবলেট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাসাতেই তার ইসিজি করানো হয়েছে। তিনি একেবারে নিস্তেজ হয়ে পড়েছেন, চিন্তাশক্তিও কমেছে। খুব বেশি কথা বলতে পারছেন না।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ৩১ বছর অধ্যাপনা করেন। বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব দিকে রাজশাহী মহানগরীর চৌদ্দপাই এলাকার ‘বিশ্ববিদ্যালয় হাউজিং সোসাইটির (বিহাস)’ নিজ বাসা ‘উজান’-এ বসবাস করছেন।
সারাবাংলা/এএম