পদ্মায় তীব্র স্রোতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে লঞ্চ
২০ আগস্ট ২০২১ ১৭:২০ | আপডেট: ২০ আগস্ট ২০২১ ২১:৪১
মুন্সীগঞ্জ: পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে গত তিনদিন ধরে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ও মাদারীপুরের বাংলাবাজার নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে লঞ্চে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রীর চাপ বেড়েছে।
শুক্রবার (২০ আগস্ট) ছুটির দিন হওয়ায় লঞ্চে স্বাভাবিকের তুলনায় যাত্রীর সংখ্যা অনেক বেশি। পদ্মার পানি বাড়ায় ও উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি পদ্মা নদী আসায় নদীতে তীব্র স্রোতের দেখা দিয়েছে। এরপরও স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব উপেক্ষা করে গাদাগাদি করে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার করছে করছে লঞ্চগুলো।
তীব্র স্রোতের কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে গত বুধবার দুপুরে থেকে শিমুলিয়ায় ফেরি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করেছে বিআইডব্লিটিসি। এতে দক্ষিণাঞ্চলের জেলার যাত্রীরা লঞ্চে পদ্মা নদী পার হচ্ছে। প্রতিটি লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে ২০ থেকে ৩০ জন বেশি যাত্রী তোলা হচ্ছে। সেখানে অতিরিক্ত ভাড়াও আদায় করছে লঞ্চ মালিকরা।
একাধিক যাত্রী বলেন, ‘ঘাটে লঞ্চ ভেড়া মাত্রই সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিটি লঞ্চে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। পদ্মার তীব্র স্রোত আর ঢেউ থাকায় ঝুঁকি নিয়েই লঞ্চগুলো চলাচল করছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া নৌবন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে এ রুটে ৮৭টি লঞ্চ চলাচল করছে। ফেরি ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকায় লঞ্চে যাত্রীর চাপ বেশি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ বলেন, ‘ঘাটে এলাকায় কোনো গাড়ি অপেক্ষমান নেই। গত কয়েক দিনের তুলনায় পদ্মা নদীর পানি ও স্রোতের তীব্রতাও বেড়েছে। ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফেরি চালু হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
সারাবাংলা/এমও