Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইয়াবার পর এবার মিয়ানমার থেকে আসছে ভয়ংকর আইস

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৮ আগস্ট ২০২১ ১৭:০৭

ঢাকা: ইয়াবার পর এবার মিয়ানমার থেকে ভয়ংকর মাদক আইস (ক্রিস্টাল মেথ) বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই মাদক বাংলাদেশে আসছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

মোংলাবন্দর অভিমুখী এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার বহন করা একটি ট্রাকে চট্টগ্রাম-কুমিল্লা হয়ে ঢাকায় আসা একটি মাদক চালান আটক করে ডিবি পুলিশ। এ সময় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাকৃতরা এ রকম চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

হাফিজ আক্তার বলেন, ‘৫০০ গ্রাম আইস ও ৬৩ হাজার ইয়াবাসহ মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রাম হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করা এমন একটি চক্রকে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশের গুলশান টিম। পৃথক অভিযানে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ ২৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ দুজনকে গ্রেফতার করে।’

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, আইস মাদকসেবীদের কাছে ক্রিস্টাল মেথ বা ডি মেথ নামে সর্বাধিক পরিচিত। এটি একটি স্নায়ু মাদক। আইস অত্যন্ত ভয়াবহ উত্তেজনাকর ও গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল মাদক। এটি গ্রহণে হরমোন উত্তেজনা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয় মাদকসেবী।

গুলশান গোয়েন্দা বিভাগের অভিযানে আইস ও ইয়াবাসহ গ্রেফতার সাতজন হলেন- মো. নাজিম উদ্দিন, মো. আব্বাস উদ্দিন, মো. নাছির উদ্দিন, মোছা. শিউলি আক্তার, মোছা. কোহিনুর বেগম, সানজিত দাস ও মো. হোসেন আলী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম আইস, ৬৩ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

আরেকটি অভিযানে মিরপুর গোয়েন্দা বিভাগের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেফতার দুজন হলেন- মোছা. রাশিদা বেগম ও মোছা. মৌসুমী আক্তার। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৫ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ইয়াবার সঙ্গে অত্যাধুনিক মাদক আইসের (ক্রিস্টাল মেথ) মতো অত্যন্ত ব্যয়বহুল মাদকও চোরাচালান হচ্ছে। এই মাদকটি প্রথমে মিয়ানমার থেকে চট্টগ্রামে আসে। এরপর চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লায় একটি প্রাইভেটকারে আনলোড করে ঢাকায় প্রবেশ করে। ইয়াবার মতো মাদকটি সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে। সীমান্তরক্ষীদের সঙ্গে তথ্য বিনিময় করে গোয়েন্দা পুলিশ মাদকটি প্রবেশে কঠোর হবে।’

তিনি বলেন, ‘আইস বিত্তবান ও তাদের বখাটে সন্তানরা নিয়ে থাকে। মূলত সিসা লাউঞ্জে সিসা সেবনকারীরা এসব মাদক নিয়ে থাকেন।’ গ্রেফতার সবার বিরুদ্ধে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানান হাফিজ।

এই চক্রটি কতদিন ধরে কাজ করছে এমন প্রশ্নের হাফিজ আক্তার বলেন, ‘ইতোমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অনেকবার এই উচ্চবিত্ত মানের মাদকসহ অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। আমরাও এই চক্রটিকে গ্রেফতার করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারব- তারা কতদিন কাজ করে। আর যারা ইয়াবা ব্যবসা করে তারাই আইসের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আইস খুব অল্প পরিমাণ সেবন করলে অনেক নেশা হয়। তবে অনেক এক্সপেন্সিভ। তাই এটি বাংলাদেশে তেমন দেখা যায় না। তবে রাজধানীর ধানমন্ডি, গুলশান, বনানী, বসুন্ধরা এসব অভিজাত এলাকায় এই মাদক সেবনের পরিমাণ বেশি। এই মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।’

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

আইস ইয়াবা টপ নিউজ মিয়ানমার

বিজ্ঞাপন

লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানল, নিহত ৫
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪৩

আরো

সম্পর্কিত খবর