Thursday 23 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ চান প্রার্থীরা

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
১৩ আগস্ট ২০২১ ২২:২৭ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২১ ২২:২৮

ঢাকা: সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ বছরে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছন চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীরা। একইসঙ্গে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি বিবেচনায় চাকরিতে প্রবেশের বয়সের ক্ষেত্রে ২১ মাস ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনাকে ‘বৈষম্যমূলক’ বলেও উল্লেখ করেন তারা।

শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে চাকরিপ্রত্যাশীরা এসব দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে চাকরিপ্রত্যাশীদের পক্ষে তানভির হোসেন, মারজিয়া মুন, মানিক রিপন, ও ওমর ফারুক আলাদাভাবে লিখিত বক্তব্যের অংশবিশেষ পাঠ করেন।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা জানান, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ হওয়ায় কয়েক লাখ তরুণ-তরুণী ইতোমধ্যেই চাকরির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ না পেয়েই ৩০ এর গণ্ডি অতিক্রম করেছেন এবং আরও কয়েক লাখ বিপদসীমার কাছাকাছি রয়েছেন।

এর আগে গত বছরের ২৫ মার্চের পর থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত যাদের সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ ছাড়িয়ে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে ২১ মাস ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানায় সরকার।

চাকরিপ্রত্যাশীরা জানান, ২১ মাস ছাড় দেওয়ার পরিকল্পনাটি বৈষম্যমূলক এবং এই পদ্ধতিতে সমাধানের চেষ্টা করা হলে মূলত যাদের বয়স ৩০ পার হয়েছে তাদের জন্য কোনো রকম উপকার হলেও যাদের বয়স এখন ২৭, ২৮ বা ২৯ তারা চরমভাবে বঞ্চিত ও বৈষম্যের স্বীকার হবেন।

এই প্রসঙ্গে লিখিত বক্তব্যে তারা জানান, ‘ব্যাকডেট দেওয়া বা বয়স সমন্বয়ের মাধ্যমে সকল বয়সী শিক্ষার্থী তথা চাকরিপ্রত্যাশীদের ক্ষতিপূরণ সম্ভব নয়। করোনা শুধুমাত্র ৩০ বছর অতিক্রম করে যাওয়া চাকরিপ্রত্যাশীদেরই ক্ষতি করেনি, বরং সকল বয়সীদের ক্ষতি করেছে। যে ছেলেমেয়েরা বিগত দেড় বছর ধরে অনার্স বা মাস্টার্স পর্যায়ে আটকে আছে তারাও সামনে ভুক্তভোগী হবে। কোভিড-১৯ শুরুর সময়ে যাদের ২৬ বছর ছিল তাদের বয়স এখন ২৮। তাই এখন ব্যাকডেট দিলে যাদের বয়স ৩০ পার হয়েছে তাদের জন্য কোনোরকম উপকার হলেও যাদের বয়স এখন ২৭, ২৮ বা ২৯ তারা চরমভাবে বঞ্চিত ও বৈষম্যের স্বীকার হবেন। কেননা তারাও তাদের বয়স থেকে ২টি বছর হারিয়ে ফেলেছেন, যার কোনো ক্ষতিপূরণ ব্যাকডেট প্রক্রিয়ায় হচ্ছে না।’

বিজ্ঞাপন

গড় আয়ু বৃদ্ধি পেলেও সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি করা হয়নি জানিয়ে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘১৯৯১ সালে শেষবার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে বৃদ্ধি করে ৩০ করা হয় যখন গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। এই ৩০ বছরে গড় আয়ু ১৬ বছর বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ বছর হলেও বৃদ্ধি পাই নাই চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর নিকট নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ চেয়ে তারা জানান, ‘করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত যুব প্রজন্ম কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট চাল-ডাল বা অর্থ সাহায্য প্রত্যাশা করছে না। চাকরি প্রাপ্তির দাবি বা বেকার ভাতা চাইছে না। মহামারির প্রকোপে জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া ২টি বছর ‘৩২’ এর মাধ্যমে ফিরে পেলে সবাই নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগটুকু অন্তত পাবে।’

সারাবাংলা/এনএস

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ চায় প্রার্থীরা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর