Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাস-ট্রেনে গাদাগাদি করলে সংক্রমণ বাড়বে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১২ আগস্ট ২০২১ ১৮:১৬ | আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২১ ০০:৪৮

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশের সব নাগরিককে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমরা মৃত্যুর হার কমাতে চাই। শুধু সরকার পারবে না, সবাইকে প্রয়োজন। নিজেদের সুরক্ষা নিজেদের করতে হবে। বাসে-ট্রেনে গাদাগাদি করে আসা-যাওয়া করলে চলবে না। তাহলে আবার সংক্রমণ বাড়বে।

বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘ডেঙ্গু ও করোনা মহামারিতে চ্যালেঞ্জ শীর্ষক প্রশিক্ষণ’ কর্মশালায় এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন (বিএসএম) ও যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)।

বিজ্ঞাপন

জাহিদ মালেক বলেন, ‘সংক্রমণ অনেক বেড়েছিল, এখন কমে এসেছে। ৩২ শতাংশে উঠেছিল, গতকাল ২৩ শতাংশ দেখলাম। এই কমার হার ধরে রাখতে চাই। যারা বাসে-ট্রেনে চলেন, গাদাগাদি করে আসা-যাওয়া করলে চলবে না। তাহলে সংক্রমণ আবার বাড়বে।’

তিনি বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ডেঙ্গু রোগী বাড়বে। হাসপাতালে জায়গা সংকুলনান করতে পারছি না। এখন প্রায় সবই খুলে দেওয়া হয়েছে। জীবন-জীবিকা পাশাপাশি চলবে। জীবন বেশি গুরুত্ব। জীবনকে রক্ষা করে আমাদের জীবিকা অর্জন করতে হবে। আমরা মৃত্যুর হার কমাতে চাই। শুধু সরকার পারবে না, সবাইকে প্রয়োজন। নিজেদের সুরক্ষা নিজেদের করতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যদি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা ভালো রাখতে হয় তাহলে সংক্রমণ রোধ করতে হবে। মাস্ক পরতে মানুষের অনীহা। আমরা জানি মাস্ক পরতে কষ্ট হয়। বিদেশে মাস্ক পরতেই চায় না। বড় বড় দেশে, উন্নত দেশে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও আমরা দেখেছি মাস্ক পরতে চায় না। তার ফলোয়াররাও কেউ মাস্ক পরতে চায় না। আমাদের দেশে অবশ্য এটা নাই। আমাদের দেশে মানুষকে বললে সেটা শোনে। করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরিস্থিতি কঠিন হবে। আমাদের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাবে।’

বিজ্ঞাপন

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগে মানুষের টিবি, পক্স এগুলো ছিল না। প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে অসুখগুলো আসে, এখনও আসছে। আমরা জানি যে, করোনা কোনো একটি প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে এসেছে। স্মল পক্স প্রতিরোধ করা গেছে। কোনো এক সময় করোনাও মোকাবিলা করা সম্ভব হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে ভ্যাকসিন পাচ্ছি। কোভ্যাক্স থেকে আমরা ভ্যাকসিন পাচ্ছি, নিজেরাও কিনছি। ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে হলে ২৬ থেকে ২৭ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োজন হবে। একসঙ্গে এত ভ্যাকসিন আমরা পাব না, রাখতেও পারব না। আমরা চেষ্টা করছি, যখন যেটি পাওয়া যায় আনার জন্য। বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র ভ্যাকসিন তৈরি করেছে এবং স্টক করেছে। জনসংখ্যার চারগুণ-পাঁচগুণ বেশি ভ্যাকসিন তারা স্টক করেছে। অনেক দেশ আছে যেখানে ভ্যাকসিন পৌঁছেনি।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মো. বিল্লাল আলম। সঞ্চালনা করেন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুদীপ রঞ্জন দেব। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, মহাসচিব এম এ আজিজ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন এবং বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন-এর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবিরসহ অন্যরা।

সারাবাংলা/এসবি/একে

জাহিদ মালেক টপ নিউজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

টানা সাতে জয়ে দুর্বার মোহামেডান
১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:৪৫

বাধ্য হয়ে জোভান-তটিনীর বিয়ে!
১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:১৯

আরো

সম্পর্কিত খবর