‘ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপের ভাষা সত্যি হয়ে থাকলে নিন্দনীয়’
১০ আগস্ট ২০২১ ১৬:৩৭ | আপডেট: ১০ আগস্ট ২০২১ ১৮:৪৫
ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ‘ফোনালাপের অডিও’ ক্লিপের বক্তব্য সত্য হয়ে থাকলে তা নিন্দনীয় ও অপ্রত্যাশিত বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, একটি কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে কেউ এ ধরনের কথা আশা করেন না।
ফোনালাপের ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট। ওই তদন্ত রিপোর্ট দেখে আগামী ১ সেপ্টেম্বর আদালত পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে আদালত বলেছেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনালাপে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তা সত্যি হয়ে থাকলে তা খুবই নিন্দনীয়, এটা অপ্রত্যাশিত। একটি কলেজের অধ্যক্ষের কাছ থেকে কেউ এ ধরনের কথা আশা করেন না।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
গত ৮ জুলাই ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই ছাত্রীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের পক্ষে আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল রিট দায়ের করেন।
রিটে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও গভর্নিংবডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এসএসএ