ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রিট
৯ আগস্ট ২০২১ ১১:৪২ | আপডেট: ৯ আগস্ট ২০২১ ১৩:৪৫
ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত চলাকালে অধ্যক্ষ কামরুন নাহারকে দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
রিটে নৈতিক স্খলনের দায়ে অধ্যক্ষকে পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ারও আরজি জানানো হয়। এ ছাড়া ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষার্থীর অভিভাবক মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের পক্ষে রোববার (৮ আগস্ট) আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া হাইকোর্টে এই রিট দায়ের করেন।
রিটে শিক্ষা সচিব ও শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক এবং গভর্নিং বডির সভাপতিকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটকারীর আইনজীবী আবদুল্লাহ আল হারুন ভূঁইয়া রাসেল সাংবাদিকদের জানান, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ফোনে যেসব কথা বলেছেন, তাতে তিনি ওই কলেজের অধ্যক্ষ পদে থাকার নৈতিক অবস্থান হারিয়েছেন। কারণ তিনি অধ্যক্ষ পদে বহাল থাকলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়বে।
সম্প্রতি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। এ দুজনের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের একটি ফোনালাপ ফাঁস হয়।
ওই ফোনালাপ ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। অধ্যক্ষ ও অভিভাবক ফোরাম নেতার সাড়ে সাড়ে মিনিটের ওই কথোপকথন সর্বত্র আলোচিত হয়। সেই ফোনালাপে এমন কিছু গালি রয়েছে যা প্রকাশের অযোগ্য। এতে ভিকারুননিসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে