অবশেষে চট্টগ্রামে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন, রোববার থেকে দ্বিতীয় ডোজ
৬ আগস্ট ২০২১ ১৪:২২ | আপডেট: ৬ আগস্ট ২০২১ ২০:৪৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন এসেছে আরও ৩ লাখ ৯ হাজার ৬০০ ডোজ। এর মধ্যে এক লাখ রয়েছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন। চার মাস পর অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন আসায় চট্টগ্রামে দ্বিতীয় ডোজের অপেক্ষায় থাকা লাখ খানেক ভ্যাকসিনগ্রহীতার অপেক্ষা শেষ হয়েছে। সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রোববার (৮ আগস্ট) থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হবে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে বেক্সিমকো কোম্পানির একটি ফ্রিজার ভ্যানে করে ভ্যাকসিনগুলো চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পৌঁছায়। জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি’র নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের কমিটি ভ্যাকসিনগুলো গ্রহণ করেন।
জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা সুজন বড়ুয়া সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, শুক্রবার তিন ধরনের করোনার ভ্যাকসিন চট্টগ্রামে এসেছে। এর মধ্যে ৩৮ হাজার ৪০০ ডোজ যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার, ১ লাখ ৬৩ হাজার ২০০ ডোজ চীনের তৈরি সিনোফার্মের এবং ১ লাখ ৮ হাজার ডোজ অক্সফোর্ড- অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি। ভ্যাকসিনগুলো ইপিআই স্টোররুমে নির্ধারিত তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হচ্ছে।
সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন আসা মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১ লাখ ৫ হাজার ৪২৫ জন মানুষ নিবন্ধনের পর প্রথম ডোজ নিয়েও দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারেননি।
সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি জানিয়েছেন, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ যারা পাননি, তাদের এই ভ্যাকসিনগুলো দেওয়া হবে। অন্যদিকে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন ইউনিয়ন ও মডার্নার ভ্যাকসিন সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড এলাকায় দেওয়া হবে। ৭ আগস্ট প্রাথমিকভাবে ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায়ে গণহারে এসব ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এরপর ১৪ আগস্ট থেকে এই কার্যক্রম আবারও শুরু হয়ে চলমান থাকবে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহরলাল হাজারী সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, শনিবার (৭ আগস্ট) চসিকের ৪১ ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৬০০ ডোজ করে মডার্নার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডে তিনটি করে কেন্দ্র করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নগরীর পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ডের রাহাত্তারপুল মজিদিয়া আলীয়া মাদরাসা প্রাঙ্গণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
চট্টগ্রামে ছয় দফায় এ পর্যন্ত মোট ১৫ লাখ ৩২ হাজার ২০০ ডোজ করোনার ভ্যাকসিন এসেছে। এর মধ্যে আছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম ও মডার্নার ভ্যাকসিন।
গত ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামে প্রথম দফায় ৪ লাখ ৫৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পৌঁছায়। দ্বিতীয় দফায় ৯ এপ্রিল এসে পৌঁছায় তিন লাখ ছয় হাজার ডোজ। ভ্যাকসিনগুলো ছিল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি। পরে গত ১৮ জুন প্রথম চীনের সিনোফার্মের ৯১ হাজার ২০০ ডোজ ভ্যাকসিন চট্টগ্রামে পৌঁছে। চতুর্থ দফায় ১১ জুলাই মডার্না ও সিনোফার্মের এক লাখ ৮৪ হাজার ভ্যাকসিন চট্টগ্রামে পৌঁছায়। ২৮ জুলাই আসে মডার্নার ১ লাখ ৬ হাজার ৮০০ ডোজ এবং সিনোফার্মের ৭৮ হাজার ৪০০ ডোজ ভ্যাকসিন। সবশেষ শুক্রবার (৬ আগস্ট) অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না ও সিনোফার্ম মিলিয়ে এসেছে ৩ লাখ ৯ হাজার ২০০ ডোজ ভ্যাকসিন।
সারাবাংলা/আরডি/টিআর