পরীমনি ও রাজের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা
৫ আগস্ট ২০২১ ১৯:৪১ | আপডেট: ৫ আগস্ট ২০২১ ২১:১৪
ঢাকা: চলচ্চিত্র অভিনেত্রী পরীমনি ও প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
রাজধানীর বনানী থানায় বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) মামলা দুটি করা হয়। পৃথক মামলায় পরীমনির মামা আশরাফুল ইসলাম দীপু ও রাজের সহযোগী সবুজ আলীকেও আসামি করা হয়েছে।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খোন্দকার আল মঈন বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) এ তথ্য জানান।
পরীমনির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর ৩৬ (১) এর সারণি ২৪ (খ)/ ৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/ ৪২(১)/ ৪১ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর: ৫।
এ ছাড়া নজরুল ইসলাম রাজের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮এর ৩৬(১) এর সারণি ২৪(খ)/ ৩৬ (১) এর সারণি ১০ (ক)/৪১ ধারায় মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর: ৬
এর আগে, গত ৪ আগস্ট বিকেল ৪টার পরপরই বনানীর ১২ নম্বর রোডের পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
এ ছাড়া প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজের বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে মাদক ও বিকৃত যৌনাচারের নানা উপকরণ জব্দ করার কথা জানায় র্যাব।
র্যাব জানানয় মিশু হাসান ও জিসান একটি চক্র গড়ে তুলেছেন। সেই চক্রের হোতা হচ্ছে পরীমনি, রাজ, পিয়াসাসহ আরও অনেকে। ৪ আগস্ট সকালে মিশু ও জিসানকে বসুন্ধরা এলাকা থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়।
তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, পরীমনি তার বাসায় একটি মিনি বার স্থাপন করেছেন। সেই বারে রাজ মাদক সরবরাহ করে থাকে।
এমন তথ্য পেয়ে র্যাব পরীমনির বাসায় অভিযান শুরু করে এবং মিনি বারের সন্ধান পাওয়া যায়। সেখান থেকে বিদেশি মদ, ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইসসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর তার আরেক সহযোগী চক্রের গডফাদার নজরুল ইসলাম রাজের বাসায় অভিযান চালানো হয় । রাজের বাসা থেকেও মাদক পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে বিকৃত যৌনাচার করার বেশ কিছু উপকরণ পাওয়া যায়। এরপর রাজকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনি জানায়, পিরোজপুরের একটি কলেজে ইন্টামেডিয়েট দ্বিতীয় বর্ষে পড়া অবস্থায় ঢাকায় আসে। ২০১৪ সালে রাজের মাধ্যমে প্রথম একটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়। ২০১৬ সালে সে অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়ে। সেই থেকেই তার বাসায় মিনি বার স্থাপন করে সে। ওই মিনি বারে প্রায়ই পার্টি করা হতো। সেই পার্টিতে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের অনেককেই দাওয়াত করে আনা হতো।
রাজ জানায়, ১৯৮৯ সালে খুলনার একটি মাদরাসা থেকে দাখিল পাশ করে ঢাকায় আসে। এরপর চাকরি-ব্যবসা করেছেন এবং ঠিকাদারিও করেছেন। ব্যবসায়ী শ্রেণির সঙ্গে উঠাবসা করার কারণে কৌশলে ২০১৪ সালে প্রযোজক হিসেবে নাম লেখান। ২০১৮ সালে রাজ মাল্টিমিডিয়া প্রোডাকশন হাউস প্রতিষ্ঠা করেন।
রাজ জানায়, মিশু হাসান ও জিসানকে দিয়ে ১০/১২ জনের একটি সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন রাজ। সিন্ডিকেটের বাইরে প্রায় শতাধিক নারী ও মডেল রয়েছে। যাদের বিভিন্ন কাস্টমারের কাছে সরবরাহ করত এই সিন্ডিকেট। সুযোগ বুঝে তারা ব্ল্যাকমেইল করতো। এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা বিপুল পরিমাণ টাকার মালিক হয়ে যায়।
আরও পড়ুন
র্যাবের হাতে আটক পরীমনি
স্মৃতি থেকে জনপ্রিয় নায়িকা ‘পরীমনি’
ঢাকার সব বার ও ক্লাবে নিষিদ্ধ হচ্ছেন পরীমনি!
পরীমনি আটক, নেওয়া হলো র্যাব সদর দফতরে
পরীমনির বিষয়ে ‘সুনির্দিষ্ট’ অভিযোগ রয়েছে: র্যাব
শুধু মদ নয়, পরীমনির বাসায় মিলেছে আরও ভয়ংকর মাদক
পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় নাসির-অমি’র জামিন
সারাবাংলা/ইউজে/একে