পশ্চিমবঙ্গে বন্যায় অন্তত ২৩ মৃত্যু
৫ আগস্ট ২০২১ ১৪:০৬ | আপডেট: ৫ আগস্ট ২০২১ ১৬:৪৯
পশ্চিমবঙ্গে অতিমাত্রায় বৃষ্টিপাতের কারণে রাজ্যের একাধিক জেলায় ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। কেবল বহু মানুষের প্রাণহানিই নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক লাখ হেক্টর কৃষিজমি। প্রাণ বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে। খবর হিন্দুস্থান টাইমস।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, বুধবার বিকেল পর্যন্ত অতিবৃষ্টি-বন্যা-ভূমিধসে অন্তত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদের মধ্যে দেয়ালচাপায় ছয় জন, পানিতে ডুবে সাত জন, বজ্রপাতে ছয় জন এবং বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন দু’জন। এছাড়া কালিম্পংয়ে ভূমিধসে মৃত্যু হয়েছে আরও দু’জনের।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দাবি, ইতোমধ্যে এক লাখ ১৩ হাজার ১৮১ জনকে দুর্গত এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ৩৬১টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৪৩ হাজারেরও বেশি মানুষ।
নবান্ন সূত্র জানিয়েছে, শিলাবতী, কংসবতী এবং দামোদরের পানি বেড়ে যাওয়ায় হাওড়া-মেদিনীপুর ও হুগলির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও সেতুতে ফাটল ধরেছে। প্রাণ হাতে করে তার ওপর দিয়েই পার হচ্ছেন স্থানীয়রা।
এদিকে, এই বন্যাকে ম্যান মেড উল্লেখ করে এর জন্য দামোদর ভ্যালি করপোরেশনকে (ডিভিসি) দায়ী করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
তার অভিযোগ, ডিভিসি রাজ্য সরকারকে না জানিয়েই পানি ছেড়ে দিয়েছে। এর সঙ্গে প্রবল বর্ষণ যোগ হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে দামোদর ভ্যালি করপোরেশন। ডিভিসির নির্বাহী পরিচালক সত্যব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দামোদর উপত্যকা বাঁধ কমিটিতে ডিভিসির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতিনিধিও রয়েছে। পানি ছাড়ার আগে কমিটির প্রত্যেক সদস্যের লিখিত অনুমতি নেয়া হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
সারাবাংলা/একেএম