পরীমনির বিষয়ে ‘সুনির্দিষ্ট’ অভিযোগ রয়েছে: র্যাব
৪ আগস্ট ২০২১ ১৭:২৫ | আপডেট: ৪ আগস্ট ২০২১ ১৯:০২
ঢাকা: বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালানো হচ্ছে। র্যাব হেডকোয়ার্টার্স এই অভিযান চালাচ্ছে।
বুধবার (৪ আগস্ট) র্যাব সদস্যরা পরীমনির বাসায় ঢোকেন। র্যাব হেডকোয়ার্টার্সের অভিযানে সহায়তা করছে র্যাব-১ ও বনানী থানা পুলিশ।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক খন্দকার আল মঈন সারাবাংলাকে বলেন, ‘তার বিষয়ে আমরা কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেয়েছি। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার বাসাতে অভিযান চালানো হচ্ছে। অভিযান শেষে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’
তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে ভয় পেয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন নায়িকা পরীমনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘যতক্ষণ না থানা থেকে পুলিশ আসবে, মিডিয়া আসবে, ততক্ষণ লাইভ চলবে। ভাই আপনারা কেউ বুঝতে পারছেন আমার অবস্থা? এইখানে কাছেই থানা। অথচ তারা আসছে না। আমার তো তাদের হেল্প লাগবে।’
পরীমনি বলেন, ‘তিনদিন ধরে আমি বিছানা থেকে উঠতে পারছি না। আমার পরিচিতরা কই। একটু আসবেন, দেখবেন? এরা কারা? ভাঙচুর করছে। এসব আল্লাহ সহ্য করবে না। আপনারা কত মানুষ এই লাইভ দেখছেন। কেউ কিছু বলছেন না। আপানারা মিডিয়ার কেউ আসবেন? আমি তো মরে যাচ্ছি।’
লাইভে পরীমনি আর বলেন, ‘আমার বাসার গেটে এসে তারা দরজা ধাক্কাচ্ছে। আমি ডিবি অফিসে ফোন করেছি, বনানী থানায় ফোন করেছি। ডিবির হারুন ভাইকে ফোন করলে তিনি বলেছেন, আমাদের এখান থেকে কেউ যায়নি। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ যেতে পারেন। দরজা খুলতে পার। আমি বলেছি, না আমি পরিচয় নিশ্চিত না হয়ে দরজা খুলব না।’
এদিকে লাইভ চলাকালেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার বাসায় প্রবেশ করেন। এ সময় তারা পরীমনির সঙ্গে আলাপ করতে চান এবং তার কাছ থেকে সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। এক পর্যায়ে তারা পরীমনির ফেসবুক লাইভ বন্ধ করতে বলেন। পরে লাইভটি ৩২ মিনিটের সময় বন্ধ হয়ে যায়।
গত জুন মাসে বনানী বোট ক্লাবে নায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগ ওঠে ওই ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতাদের একজন নাসির ইউ মাহমুদের বিরুদ্ধে। ওই বিষয়ে পরীমনি সংবাদ সম্মেলন করলে পুলিশ প্রশাসন তা আমলে নেয়। পরীমনির করা মামলায় নাসির ইউ মাহমুদ ও তার সহযোগী অমিকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রধান আসামি নাসির ইউ মাহমুদ গ্রেফতার হওয়ার কয়েকদিন পর জামিনে মুক্তি পান।
সারাবাংলা/ইউজে/একে