Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

৩ আগস্ট জাপান থেকে আসছে আরও ৬ লাখ কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২ আগস্ট ২০২১ ২৩:১২ | আপডেট: ৩ আগস্ট ২০২১ ১২:৫৩

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমে যুক্ত হতে যাচ্ছে আরও ছয় লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজ কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন। কোভ্যাক্সের আওতায় ইতোমধ্যেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ফর্মুলায় প্রস্তুত করা এই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিয়ে জাপানের একটি ফ্লাইট ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। ৩ আগস্ট দুপুরে এই ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছতে পারে।

সোমবার (২ আগস্ট) এ তথ্য সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব মো. শামসুল হক।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, কোভ্যাক্সের আওতায় ৬ লাখ ১৬ হাজার ৭৮০ ডোজের তৃতীয় চালান নিয়ে জাপান থেকে অল নিপ্পন এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইট ঢাকার পথে রওনা দিয়েছে। জাপানের স্থানীয় সময় রাত সোয়া ৯টায় ফ্লাইটটি নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছেড়েছে।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এই ভ্যাকসিন পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে।

উল্লেখ্য, দেশে কোভ্যাক্সের আওতায় জাপান থেকে ২৪ জুলাই ২ লাখ ৪৫ হাজার ২০০ ডোজ কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন ঢাকায় আসে। পরবর্তীতে ৩১ জুলাই বিকেলে ৭ লাখ ৮১ হাজার ৩২০ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসে। জাপান থেকে কোভিশিল্ডের ভ্যাকসিন আসার পরে ২ আগস্ট থেকে রাজধানীতে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করা হয়েছে। ৭ আগস্ট থেকে সারাদেশে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

এর আগে, দেশে প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি শুরু হয় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগের মাধ্যমে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে সরকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনে। মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে সেই ভ্যাকসিন পাওয়ার কথা ছিল। জানুয়ারিতে সেই ভ্যাকসিনের প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ এলেও ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় চালানে আসে ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন। এর বাইরে ভারত সরকার দুই দফায় ৩২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশকে।

বিজ্ঞাপন

ওই এক কোটি দুই লাখ ডোজ ভ্যাকসিন নিয়ে দেশে ৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হয় ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি। কিন্তু ভারতে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলে দ্বিতীয় চালানের ২০ লাখ ডোজের পর সিরাম আর কোনো ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে দেয়নি। ফলে এক পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচিতেও ছেদ পড়ে।

এর পর সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজার ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি ফের শুরু করা গেলেও এক ডোজ কোভিশিল্ড নেওয়া অনেকেই এখনো ভ্যাকসিনের অপেক্ষায় আছেন। তাদের ভ্যাকসিন দিতেই নানামুখী তৎপরতা শুরু করে বাংলাদেশ সরকার।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

টপ নিউজ ভ্যাকসিন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর