৬৫ শতাংশ মশার লার্ভাই নির্মাণাধীন ভবনে, ২৫ শতাংশ ওয়াসার মিটারে
২ আগস্ট ২০২১ ২৩:০২
ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) যেসব স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই নির্মাণাধীন ভবনে। ২৫ শতাংশ লার্ভা
পাওয়া যায় ওয়াসার মিটারে। আর বাদবাকি লার্ভা পাওয়া যায় টায়ার, টব, কমোডের জায়গায়।
সোমবার (২ আগস্ট) মশার লার্ভা নিধনে রাজধানীর মিরপুরে ডিএনসিসির অভিযানে এসে এ তথ্য দেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আতিকুল বলেন, আমরা যেখানে এডিস মশার লার্ভা পেয়েছি তার মধ্যে ৬৫ শতাংশই হচ্ছে নির্মাণাধীন ভবনে। ২৫ শতাংশ পেয়েছি ওয়াসার মিটারে। আর বাকিগুলো টব,
টায়ার এবং ডাবের খোসার মতো অপ্রয়োজনীয় জিনিসে।
তিনি বলেন, মোহাম্মদপুরে গিয়ে একটি গ্যারেজে দইয়ের বাটিতে লার্ভা পেয়েছি। আমরা কিন্তু বাসাবাড়িতে যেতে পারি না। কোনো বাড়ির ছাদে যেতে পারি না, ব্যালকনিতে যেতে পারি না। এগুলো আমাদের নিজেদের যার যার বাড়িতে নিজেদেরকেই করতে হবে। নিজের বাড়িতে নিজে কাজ করতে কোনো লজ্জা নেই।
মশক নিধনে জরিমানার কথা জানিয়ে আতিক বলেন, একদিকে করোনা আরেক দিকে ডেঙ্গু। এসব রোগের বিরুদ্ধে আমাদের সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। সুস্থতার
জন্য সামাজিক আন্দোলন, এটিই এখন প্রচার করতে হবে।
মেয়র জানান, আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। ২৯ জুলাই পর্যন্ত সেই অভিযানে ২০৮টি স্থানে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে। ৩২০টি মামলা করা হয়েছে। ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আতিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাসার ঠিকানা পাওয়া যাচ্ছে না। ঠিকানা পেলে রোগীর বাসার আশেপাশের এলাকায় মশার
ওষুধ দেওয়াসহ লার্ভার হটস্পট ধ্বংস করা সম্ভব হতো।
এ দিন জনসচেতনতায় ডিএনসিসি মেয়রের নেতৃত্বে মোটর শোভাযাত্রা বের করা হয়। মিরপুর এলাকায় অঞ্চল -২ এর অধীন ৮টি ওয়ার্ডে এই মোটর শোভাযাত্রা প্রদক্ষিণ করে। এ সময় মিরপুর এলাকার সংসদ সদস্য আগা খান মিন্টুসহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এসবি/এসএসএ