খুবি শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টা, মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি
১ আগস্ট ২০২১ ২১:৪০ | আপডেট: ২ আগস্ট ২০২১ ০২:৪৬
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জিহাদ হাওলাদার (২৩) ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাচেষ্টার শিকার হওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে আসামিপক্ষ। পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিষয়টি অবহিত করতে বলেছে।
মাদারীপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী জিহাদ হাওলাদার, তার দুই ভাই ও তার চাচাকে গত ২৪ জুলাই বিকেলে তার বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন জিহাদসহ তার পরিবারের বাকি সদস্যদের মারাত্মক জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। শুক্রবার তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় যান।
জিদাহের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিনই দুবৃর্ত্তদের আট জনকে আসামি করে মাদারীপুর সদর থানায় মামলা করা হয়। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, এখন আসামি পক্ষ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য তাকে ও তার পরিবারকে বারবার হুমকি দিচ্ছে।
জিহাদ বলেন, ২৪ জুলাই বিকেল ৪টার দিকে মাদারীপুর সদরের ভদ্রখোলা গ্রামের হাওলাদার বংশের (নয়াবাড়ি) দেলোয়ার হাওলাদারের মেয়ের জামাতা শহিদুল হাওলাদার (৩০) জিহাদের চাচা আতিয়ার হাওলাদারকে উসকানিমূলক ও অপমানজনক কথা বলে। এ ঘটনার কারণ জানতে চাওয়ায় শহিদুল ও তার শ্যালক সিফাত হাওলাদার (১৮) জিহাদের দাদী ও মা কিরন বেগমকে (৪৫) মারধর করেন।
খবর পেয়ে জিহাদ ও তার চাচা আতিয়ার হাওলাদার ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই চুন্নু সিং দেশীয় অস্ত্র ও তার দলবল নিয়ে তাদের বাসায় ঢোকে। এরপর তাকে ও তার ছোট ভাই রিফাত হাওলাদার (১৮), বড় ভাই রিয়াদ হাওলাদার (২৪) ও চাচা আতিয়ার হাওলাদারকে দেশীয় অস্ত্র রামদা ও মাছ শিকার করা কোচ দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এছাড়াও, তার চাচা আতিয়ার হাওলাদারের নতুন ঘর ভাঙচুর করে এবং লুটপাট করে।
খুবি শিক্ষার্থী জিহাদ বলেন, চুন্নু সিং ও তার সহযোগীদের আক্রমণে আমরা মারাত্মকভাবে জখম হই। এছাড়া আমার মাথায় রামদার কোপ লাগায় আটটি সেলাই দিতে হয়েছে। এ বিষয়ে আমারা থানায় মামলা করলে চুন্নু সিং আমাদেরকে এখন নানাভাবে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে।
এ ব্যাপারে মামলার আসামি চুন্নু সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ভুক্তভোগীরা এ বিষয়ে এরই মধ্যে মামলা করেছেন। মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটে থাকলে তাদের থানায় আসতে হবে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ছাড়া আমরা কিছু করতে পারব না।
ওসি বলেন, থানায় এসে তারা সাধারণ ডায়েরি করলে আমি তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে দ্রুতই এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেব।
সারাবাংলা/টিআর