Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শুক্রবার শিল্প শহরে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের বিক্ষোভ সমাবেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ আগস্ট ২০২১ ২০:১৮ | আপডেট: ১ আগস্ট ২০২১ ২০:৪১

পোশাক কারখানা খোলার ঘোষণায় ঢাকা ফিরছেন শ্রমিকরা, রোববার শিমুলিয়া ঘাট থেকে তোলা ছবি

ঢাকা: বিধিনিষেধের মধ্যে শ্রমিকের যাতায়াত ব্যয়, অসুস্থ হলে চিকিৎসা-ক্ষতিপূরণ, ঝুঁকি ভাতা প্রদান এবং অগ্রাধিকারভিত্তিতে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগের দাবি জানিয়ে আগামী শুক্রবার (৬ আগস্ট) দেশের সব শিল্প শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট। একইসঙ্গে করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হলে সরকারি কর্মচারীদের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণের দাবিও রয়েছে তাদের।

রোববার (১ আগস্ট) গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ও নির্বাচিত সদস্যদের এক সভা থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকাল ১১টায় দেশের শিল্প শহরগুলোতে এই বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।

বিজ্ঞাপন

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আহসান হাবিব বুলবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদের সঞ্চালনায় অনলাইন জুম প্ল্যাটফরমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি খালেকুজ্জামান লিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৌমিত্র কুমার দাস, দফতর সম্পাদক হাসনাত কবির, নির্বাহী সদস্য রুহুল আমিন সোহাগ, মোহা. সোহেল, মোহা. মহাসিন, নুর হোসেন সর্দার ও মোহা. নিরব।

সভায় গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট নেতারা বলেন, শ্রম আইন নামে শ্রমিকবিরোধী একটি আইন রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী কোনো শ্রমিক ছুটির পর প্রথম দিন অনুপস্থিত থাকলে তার সম্পূর্ণ ছুটির দিনগুলোই অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য হবে বলে উল্লেখ আছে। আবার একটানা ১০ দিন অনুপস্থিতির অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্তের বিধানও রয়েছে।

তারা বলেন, এরকম একটি অনিশ্চয়তার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিকরা জীবিকার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। তাছাড়া কারখানা খোলার সংবাদ প্রকাশ করার সময় যেসব শ্রমিক কর্মস্থলে আছেন, শুধু তাদের নিয়েই কারখানা চালু করার কোনো নির্দেশনা জানানো হয়নি। অধিকাংশ শ্রমিকরা ঝুঁকি ও দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে কর্মস্থলের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার পর ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, তাদের এখন আসার দরকার ছিল না। স্বল্প সময়ের জন্য গণপরিবহন চলাচলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্টের নেতারা এই আচরণকে ‘প্রতারণামূলক’ অভিহিত করে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য দায়ী মালিকদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান।

তারা বলেন, একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ভুল নয়, পরিকল্পিত। এর আগেও কারখানা মালিকরা কর্মস্থলে অবস্থানকারী শ্রমিকদের দিয়ে কারখানা চালানোর অনুমতি নিয়ে সারাদেশ থেকে শ্রমিকদের লকডাউনের মধ্যে কাজে যোগ দিতে বাধ্য করেছিল। নির্দিষ্ট সময়ে উপস্থিত হতে ব্যর্থ হওয়া শ্রমিকদের মধ্যে সচেতন ও পুরনো শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করেছিল। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার জন্য মালিক সমিতি বা কারখানা মালিকদের কোনো শাস্তি পেতে হয়নি।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিআর

গার্মেন্টস শ্রমিক ফ্রন্ট বিক্ষোভ সমাবেশ

বিজ্ঞাপন

৭ বছর পর মা-ছেলের সাক্ষাৎ
৮ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:৩৮

আরো

সম্পর্কিত খবর