Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের সংস্থান হচ্ছে যেখান থেকে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ জুলাই ২০২১ ১৯:৩৩ | আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২১ ২১:২০

ঢাকা: কখনও বিধিনিষেধ, কখনও কঠোর বিধিনিষেধ আবার কোনো কোনো সময় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনেও গত দেড় বছরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানো যায়নি। বরং দিনকে দিন আরও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, করোনার সংক্রমণ কমাতে হলে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে, পাশাপাশি সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে হবে। এ পরিপ্রেক্ষিতে এই দুইটি বিষয়ে জোর দিচ্ছে সরকার। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, সরকার এ পর্যন্ত ২১ কোটি ডোজ ভ্যাকসিনের সংস্থান করেছে। যা দিয়ে দেশের ৮০ ভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা যাবে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৬ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের সিরাম ইনস্টিউটের সঙ্গে তিন কোটি ডোজ অ্যাস্ট্রোজেনকার ভ্যাকসিনের চুক্তি হয়। যার ৭০ লাখ ডোজ এরই মধ্যে চলে এসেছে। চীনের সিনোফার্মের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী দেড় কোটি পাব। সেখান থেকে একটা অংশ চলে এসেছে। রাশিয়া থেকে আসবে এক কোটি ভ্যাকসিন।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকেও আমরা ভ্যাকসিন পাচ্ছি। যেমন মর্ডানা, ফাইজার। সেখান থেকে ৬ কোটি ৮০ লাখ ভ্যাকসিন আসবে। এখানে বলতে গেলে সাত কোটি। এছাড়া জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। সেখান থেকে পাব সাত কোটি। যা আগামী বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের এপ্রিল-জুন নাগাদ চলে আসবে। সব মিলিয়ে ২১ কোটি ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা হচ্ছে। যা দিয়ে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতি মাসে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে গেলেও ২১ মাস সময় লেগে যাবে। আমরা এত সময় নেব না। বর্তমানে সরকারের হাতে এক কোটি ভ্যাকসিন রয়েছে। আগামী মাসে আরও দুই কোটি ডোজ পাওয়া যাবে। দ্রুত সময়ে ভ্যাকসিন দিতে চাই আমরা।’

চুক্তি অনুযায়ী সিনোফার্মার কাছ থেকে দেড় কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আগামী তিন মাসের মধ্যে চলে আসার কথা। গত ২৪ জুলাই কোভ্যাক্সের মাধ্যমে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২ লাখ ৪৫ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পৌঁছেছে। ৩ ও ৪ জুলাই ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসেছে। চীনের সিনোফার্মা থেকে দুই দফায় উপহার হিসেবে এসেছে ১১ লাখ ভ্যাকসিন।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

ভ্যাকসিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর