দেশে করোনা সংক্রমণ বেশি যে ১০টি জেলায়
২২ জুলাই ২০২১ ১০:৩৯ | আপডেট: ২২ জুলাই ২০২১ ১০:৫৬
ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ বাড়ছে। তবে ১০টি জেলায় করোনার সংক্রমণ বেশি দেখা দিয়েছে। এই ১০টি জেলার মধ্যে শীর্ষে আছে ঢাকা। জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ছয় মাসের নমুনা পরীক্ষা ও সংক্রমণ শনাক্তের হার বিবেচনায় এই ১০টি জেলায় বেশি রোগী পাওয়া গেছে।
দেশের কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল বুধবার (২১ জুলাই) আয়োজিত স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসব তথ্য জানান প্রতিষ্ঠানটির সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডিরেক্টর ও মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
অধ্যাপক ডা. নাজমুল বলেন, কোভিড-১৯’র সংক্রমণ বেশি শনাক্ত হওয়া জেলাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকায়। এ জেলায় চার লাখের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণ শনাক্তের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা। এ জেলায় রোগী শনাক্ত হয়েছে ৬৮ হাজার ৯০৭ জন। এরপর কুমিল্লার জেলার অবস্থান। এখানে শনাক্তের সংখ্যা ২৩ হাজার ২৩০ জন।
এছাড়া বগুড়া জেলায় ১৯ হাজার ৭৪৬ জন, সিলেটে ১৯ হাজার ৯৮০ জন, নারায়ণগঞ্জে ১৯ হাজার ৬৩ জন, রাজশাহীতে ১৮ হাজার ১৪৫ জন, খুলনায় ১৯ হাজার ১০৩ জন, ফরিদপুরে ১৭ হাজার ৯৮৯ জন এবং গাজীপুরে ১৭ হাজার ৮০৬ রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানান অধ্যাপক ডা. নাজমুল।
তিনি বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত যদি সংক্রমণের চিত্রটি দেখি তাহলে লক্ষ্য করা যায়— জানুয়ারিতে দেশে ২১ হাজার ৬২৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে তা কমে দাঁড়ায় ১১ হাজার ৭৭ জনে। মার্চেও করোনা রোগীর সংখ্যা কম ছিল। তবে দেশে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট শনাক্তের পর জুন মাসে রোগী শনাক্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যায়। জুলাইয়ে আরও বাড়বে বলেও শঙ্কা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ডা. নাজমুল আরও বলেন, ঈদে স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করা হয়েছে। তবে এ সময়ের মধ্যে দোকানপাট, শপিং কমপ্লেক্স, গণপরিবহনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজেদের কাজগুলো করে যেতে হবে। এটি শুধু নিজের জন্য নয়, নিজের পরিবার ও দেশের নিরাপত্তার জন্য মানতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী ২৩ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ যেটি আরোপ করা হবে, সেক্ষেত্রেও সবাইকে দায়িত্ববান হতে হবে। আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং নিজ নিজ জায়গা থেকে দায়িত্ববান আচরণ করতে হবে। তা হলেই আমাদের কর্মসূচিগুলো সফলতার মুখ দেখবে।
ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশু কোরবানি হচ্ছে। তবে এ কোরবানির সময় প্রয়োজন ছাড়া অধিক লোক সমবেত না হওয়াই ভালো। কোরবানির মাংস সংগ্রহের জন্য যত কম লোক চলাফেরা করেন, ততই ভালো। আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যে, কোনো ক্রমেই যেন একসঙ্গে অনেক লোক জড়ো না হয়।
সারাবাংলা/এসবি/এনএস