বালিশকাণ্ডে গণপূর্তের ৭ প্রকৌশলীর জামিন বাতিলে হাইকোর্টের রুল
১৯ জুলাই ২০২১ ১৮:২১
ঢাকা: পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের আসবাবপত্র কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগে গণপূর্তের প্রকৌশলীসহ সাতজনকে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৯ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন মুহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমির উদ্দিন মানিক।
এর আগে, গত জুনের ১৩, ১৫ ও ১৬ তারিখে পাবনার আদালত বালিশকাণ্ডে অভিযুক্তদের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে দুদক। সেই আবেদন শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট এ আদেশ দিলেন।
এদিকে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, সাত আসামির জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল করেছেন আদালত। দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম ছাড়া বালিশকাণ্ডে অভিযুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আহমেদ সাজ্জাদ খান ও মোস্তফা কামাল, উপ সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল কবীর, শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক ও আমিনুল ইসলাম।
রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর দুদক পাবনায় চারটি মামলা দায়ের করে। দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন ও উপ-সহকারী পরিচালক শাহজাহান মিরাজ বাদী হয়ে পাবনায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে এসব মামলা করেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে লাভবান করতে গণপূর্ত অধিদফতরের কতিপয় প্রকৌশলী রূপপুর গ্রিন সিটির ২০ তলা ফাউন্ডেশনের ৬ ইউনিটবিশিষ্ট এক নম্বর ভবনের কিছু সিভিল এবং ই/এম ওয়ার্কসহ আইটেম কেনাকাটার ক্ষেত্রে বাজারমূল্য থেকে বেশি মূল্য দেখানো হয়। অতিরিক্ত পরিবহন খরচ, তলাভিত্তিক উত্তোলন খরচ ও শ্রমিকের মজুরি যোগ করে প্রাক্কলন প্রস্তুত করা হয়।
সাত প্রকৌশলী হলেন- পাবনা গণপূর্ত বিভাগের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলম, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আহমেদ সাজ্জাদ খান ও মোস্তফা কামাল, উপ সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল কবীর, শফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক ও আমিনুল ইসলাম।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম