Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদে শিল্পাঞ্চলে গুজব ছড়ানোর আশঙ্কায় সতর্ক সরকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১১ জুলাই ২০২১ ০৯:৩৩ | আপডেট: ১১ জুলাই ২০২১ ১৩:৩৬

মঙ্গলবার কমলাপুরে বিন্নী গার্মেন্টসসের শ্রমিকরা বেতন-বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ করেন, সড়ক অবরোধ করেন

ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে কঠিন বিধিনিষেধ চলমান রয়েছে। ঘরের বাইরে গেলেই জেল-জরিমানার শিকার হতে হচ্ছে। অন্যদিকে ঘনিয়ে আসছে ঈদুল আজহা। এ পরিস্থিতি খোলা থাকা তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলোতে গোলযোগের আশঙ্কা করছে সরকার। তাই আগে থেকেই মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে সরকার সতর্ক  অবস্থান নিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চলমান বিধিনিষেধ ঈদের সময়ে অব্যাহত থাকে কি না এবং সেক্ষেত্রে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা গ্রামে ছুটি কাটাতে যেতে পারবেন কি না— এসব ইস্যু নিয়ে গোলোযোগের শঙ্কা রয়েছে। পাশাপাশি ঈদ উপলক্ষে বেতন-বোনাস ও ছুটির ইস্যুও রয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে গুজব ছড়িয়ে শিল্পাঞ্চলগুলোতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। সেই আশঙ্কাতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি কার্যপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রলালয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শিল্প মালিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর কাছে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সই করা কার্যপত্রে আসন্ন কোরবানি ঈদকে ঘিরে কাঁচা চামড়া কেনাবেচা নিয়ে যেন বিশৃঙ্খলা না হয়, সেদিকেও বিশেষ দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ওই কার্যপত্রে আরও বলা হয়েছে, ঈদের আগেই কাঁচা চামড়ার দাম নির্ধারণ ও চামড়া পাচার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। কোরবানির কাঁচা চামড়া যেন ঢাকার বাইরে সীমান্ত অভিমুখে যেতে না পারে, সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। এসব ব্যবস্থা নিতে ট্যানারি শিল্প মালিকদের নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে এবং চামড়ার দাম নির্ধারণ করে তা দৈনিক সংবাদপত্রে প্রকাশের কথা বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ওই চিঠিতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে ঈদের আগে কোনো স্বার্থান্বেষী মহল গুজব বা উসকানি দিয়ে যেন পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়াতে না পারে, সে বিষয়ে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। আর পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ, বিকেএমইএ ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইকে আলোচনা করে যথাসময়ে ঈদ উপলক্ষে বেতন-বোনাস পরিশোধ ও ছুটি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে শিল্পাঞ্চলগুলোতে অগ্নিকাণ্ড কিংবা যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ফায়ার সার্ভিস ও শিল্প পুলিশকে বলা হয়েছে। ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে গ্রামাঞ্চলে যেন মারামারি বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, সেজন্যও নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

টপ নিউজ শিল্পাঞ্চল সতর্কাবস্থা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর