১২ সিটি করপোরেশনে মডার্নার ভ্যাকসিন নিতে পারবেন প্রবাসী কর্মীরাও
৫ জুলাই ২০২১ ২২:২৬ | আপডেট: ৬ জুলাই ২০২১ ০৩:০৪
ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে খুব দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম। ইতোমধ্যে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রমকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে কিছু সিদ্ধান্ত। কোভ্যাক্সের আওতায় দেশে আসা মডার্নার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায়। এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন সেই সব সিটি করপোরেশন এলাকায় নিবন্ধন করা প্রবাসী কর্মীরা।
সোমবার (৫ জুলাই) সারাবাংলাকে এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক এবং জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিকল্পনার সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক।
সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরব ও কুয়েতের প্রবাসী কর্মীদের বর্তমানে ফাইজারের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত আছে, যা পর্যায়ক্রমে নিবন্ধন সাপেক্ষা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। রাজধানীর সাতটি হাসপাতালে স্থাপিত কেন্দ্রে ইতোমধ্যেই ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় মডার্নার ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি সৌদিআরব ও কুয়েত প্রবাসী কর্মীরা চান তবে তারা সেই ভ্যাকসিনও নিতে পারবেন নিবন্ধন সাপেক্ষে। যখন সিটি করপোরেশন এলাকাগুলোতে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে তখন এই দুই দেশে যেতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীরা ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। তবে এটি নিবন্ধন সাপেক্ষে নিতে হবে। কারণ এই দুইটি দেশেই ফাইজার ও মডার্নার ভ্যাকসিন যারা গ্রহণ করেছেন তাদের অ্যালাউ করা হবে।’
ডা. শামসুল হক বলেন, ‘সিটি করপোরেশন এলাকায় যখন মডার্নার ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হবে তখন সেই এলাকায় থাকা প্রবাসী কর্মীরা যদি সেখানে নিবন্ধন করে থাকেন তবে তাদের ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য ঢাকায় আসতে হবে না।’
এর আগে এদিন স্বাস্থ্য অধিদফতরের এই কর্মকর্তা জানান, নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সারাদেশে আবার জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আগামী সপ্তাহ থেকে এই কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এবার ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় মডার্নার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। এগুলো বাদে অন্যান্য জেলা ও উপজেলায় সিনোফার্মের ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। সবার জন্য ভ্যাকসিন নিশ্চিত করতে গ্রাম এলাকায় অস্থায়ীভাবে করা হবে ক্যাম্প। ভ্যাকসিন গ্রহণের নিবন্ধনের বয়সসীমা ৪০ বছর থেকে কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়েছে। এছাড়াও এবার ভ্যাকসিন নিবন্ধনের অগ্রাধিকার তালিকায় যুক্ত হচ্ছে কৃষক, শ্রমিক ও আইনজীবীরা। এছাড়াও মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ বাড়ায় তাদেরকেও ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আপাতত ভ্যাকসিন পাবেন ৫৫ বছরের বেশি বয়সীরা।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম