Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বছর শেষে আসতে পারে রাশিয়ার ভ্যাকসিন ‘ইপিভ্যাক’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৫ জুলাই ২০২১ ২০:৩৫ | আপডেট: ৫ জুলাই ২০২১ ২২:২৯

ঢাকা: করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) নিয়ন্ত্রণে রাশিয়ার উৎপাদিত আরেকটি ভ্যাকসিন ‘ইপিভ্যাক’ চলতি বছরের শেষ নাগাদ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যেই দেশটির ‘স্পুটনিক-ভি’ ভ্যাকসিন ক্রয় ও যৌথভাবে উৎপাদনের বিষয়ে আলোচনা করছে বাংলাদেশ। চলতি বছরে ১৪ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইপিভ্যাক ভ্যাকসিন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে রাশিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী উৎপাদন ঠিক থাকলে বছরের শেষেরদিকে বাংলাদেশের কাছে এই ভ্যাকসিন বিক্রি করবে রাশিয়া।

বিজ্ঞাপন

মস্কোর কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই রাশিয়ার ‘স্পুটনিক-ভি’ ভ্যাকসিন ক্রয় এবং দেশে যৌথভাবে উৎপাদন বিষয়ে ওই দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলছে। চলতি জুলাইয়ের মধ্যে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা যে, কত পরিমাণ ভ্যাকসিন কীভাবে পাওয়ার যাবে এবং কবে নাগাদ দেশে উৎপাদন শুরু হবে।

মস্কোর ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, পাশাপাশি রাশিয়ার আরেকটি ভ্যাকসিন ইপিভ্যাক ক্রয়ের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। রাশিয়া এই প্রস্তাবের জবাবে বাংলাদেশকে জানিয়েছে— ইপিভ্যাক ভ্যাকসিন উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, সেই হিসেবে উৎপাদন চলমান থাকলে বছরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশকে এই ভ্যাকসিন দিতে পারবে রাশিয়া।

রাশিয়ান সংবাদসংস্থা তাস’কে দেশটির শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ডেনিস মাইনসিওরোভ বলেন, ইপিভ্যাক ভ্যাকসিন দেশের বাইরে রফতানি করার সুযোগ আছে— তবে সময় লাগবে। রাশিয়ার কাছে বাংলাদেশসহ ভেনিজুয়েলা, ভারত, মেক্সিকো, ভিয়েতনাম, মরক্কো, পাকিস্তান এবং আর্জেন্টিনা এই ভ্যাকসিন চেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, যে সকল দেশ এই ভ্যাকসিন চেয়েছে তাদেরকে এটা সরবরাহ করা যাবে কি না— তা এখনই বলা যাচ্ছে না। উৎপাদনের অবস্থা দেখে বছর শেষে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।

সারাবাংলা/জেআইএল/এনএস

ইপিভ্যাক ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস বাংলাদেশ রাশিয়া স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর