সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় বাড়ছে সড়কে
৫ জুলাই ২০২১ ১৬:৫৫ | আপডেট: ৫ জুলাই ২০২১ ১৮:৫৮
ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে সরকার কৃর্তৃক জারি করা কঠোর বিধিনিষেধের আজ পঞ্চম দিন চলছে। তবে রাজধানী ঘুরে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। কারণ, সময় যত বাড়ছে ততোই যেন সড়কগুলোতে বাড়ছে মানুষের ভিড়।
সোমবার (৫ জুলাই) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর চানখাঁরপুল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, টিএসসি, শাহবাগ, কাকরাইল, নয়াপল্টন, গুলিস্তান, মতিঝিল, কমলাপুর রেলস্টশেন, মুগদা, সাতরাস্তা ও মগবাজার এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
সোমবার সকাল ১১টা। রাজধানীর শাহবাগে পুলিশের চেকিং কার্যক্রম চলছে। অন্যান্য গত চারদিনে রাস্তায় যত যানবাহন দেখা গেছে, আজ ঠিক একই সময়ে তার উল্টো চিত্র দেখা যায়। এদিকে পুলিশও বলছে আজকে রাস্তায় ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা অনেক বেশি। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষ নানা অজুহাতে রাস্তায় বের হচ্ছেন। সেজন্য সাধারণ মানুষ এবং ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যারা কোনো কারণ ছাড়াই বের হচ্ছেন তাদের মামলাসহ জরিমানাও করছে পুলিশ। কিন্তু এরপরও রাস্তায় গাড়ি এবং মানুষের সংখ্যা কমার পরিবর্তে যেন বেড়েই চলছে।
সকাল সাড়ে ১২টা রাজধানীর সাতরাস্তা এলাকা। অন্যান্য দিনে এখানে পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা চেকিং ছিল, আজকে তেমন কিছুই দেখা যায়নি। একইসঙ্গে এখানে অন্যান্য দিন মানুষের আনাগোনা কম দেখা গেলেও আজকের চিত্র ভিন্ন। এখানে শতশত রিকশা চালকরা রয়েছেন, আর সাধারণ মানুষের সংখ্যাও গত চারদিনের চেয়ে বেশি।
তেমনি একজন আবদুল রাসেলের সঙ্গে কথা হয়। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, পেটে ভাত নেই। কে আমাদের ভাত দেবে, বাইরে না বের হলে খাব কি? সরকার কি খাবার ঘরে দিয়ে আসবে? তাই বাধ্য হয়ে কাজের জন্য বের হতে হয়েছে।
বেলা ১টার একটু বেশি। মুগদা এলাকায় চেকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। সেখানে রাস্তার দুপাশে সেনাবাহিনীর সদস্য চেকিং কার্যক্রম করছে। কিন্তু দেখা গেছে প্রচুর গাড়ির সংখ্যা। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, গত চারদিনের চেয়ে আজ সড়কে গাড়ির সংখ্যা অনেক বেশি। বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলেই মেডিকেলের কথা বলছেন ৪০ শতাংশ মানুষ। রফতানি কাজের কথা বলে বের হচ্ছে ৩০ শতাংশ মানুষ। আর বাকি মানুষের কেউ কঠোর বিধিনিষেধ দেখতে আবার কেউ বা এমনতেই বের হচ্ছেন। আসলে সাধারণ মানুষের অজুহাতের যেন শেষ নেই।
অপরদিকে সময় যত যাচ্ছে রাজধানীতে গাড়ির সংখ্যা যেন দ্রুত গতিতে বাড়ছে। একইসঙ্গে রাজধানীতে আজকে চেকিং কার্যক্রম একদমই নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র কয়েকটি জায়গায় পুলিশের এবং সেনাবাহিনীর চেকিং দেখা গেছে— যা হাতেগোনা মাত্র। ফলে যারা নিতান্তই জরুরি সেবায় বের হচ্ছেন তারা বলছেন, এভাবে চলছে কঠোর বিধিনিষেধ আগের মতোই হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। যা গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হয়। যা বিশেজ্ঞদের পরামর্শে আরও এক সপ্তাহ বৃদ্ধির করার কথা জানিয়েছে সরকার। আজ (সোমবার) সরকারের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করার হয়। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বর্ডা গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও মোতায়েতন করেছে সরকার।
সারাবাংলা/এসজে/এনএস
কঠোর বিধিনিষেধ টপ নিউজ পঞ্চম দিন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় বাড়ছে