গোলাম মোহাম্মদের পিপি পদ বাতিল
১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ২১:২৭ | আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ২১:১৪
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান বিমলের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদে থাকা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট।
রায়ের ফলে তিনি আর পিপি পদে ফিরতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান বিমল নেত্রকোনা সদর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একই সঙ্গে নেত্রকোনা দায়রা জজ অদালতের (পিপি) ছিলেন।
বিমলের পিপি হিসেবে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে বিমলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সামসাদ।
পরে আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘পিপি থাকার বৈধতা নিয়ে যে রুল দিয়েছিল হাইকোর্ট, তা আজ যথাযথ ঘোষণা করেছে। এ কারণে গোলাম মোহাম্মদ খান পিপি পদে ফিরতে পারছেন না।’
এর আগে গত ২০ আগস্ট যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নেত্রকোনা দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠানের পদে থাকার ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে রুল নিস্পত্তির জন্য হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয়।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গোলাম পাঠানের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আপিল বিভাগ এই আদেশ দিয়েছিল।
শ্বশুরকে হত্যার দায়ে ১৯৮৬ সালে নেত্রকোনা দায়রা জজ আদালতে গোলাম পাঠানের যাবজ্জীবন সাজা হয়। হাইকোর্টও নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেন সাজাপ্রাপ্ত গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান।
তবে আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতির মার্জনা পেয়ে ১৯৯৫ সালে তিনি কারাগার থেকে বেড়িয়ে আসেন। এরপর রাজনীতির পাশাপাশি আইন পেশায় যুক্ত হন গোলাম পাঠান।
২০০৯ সালে তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান। পরে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসেবে পাবলিক প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন নেত্রকোনা সদরের বাসিন্দা মো. মোশারফ হেসেন।
ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৮ আগস্ট পিপির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেওয়ার পাশাপাশি রুল জারি করে। মঙ্গলবার সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আদালত গোলাম মোহাম্মদ খানের পিপি পদ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয়।
গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের মামা বলে পরিচয় জানা গেছে।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই