বিএনপি থেকে পলায়ন শুরু হয়েছে
৫ জুলাই ২০২১ ১৪:৪৯ | আপডেট: ৫ জুলাই ২০২১ ১৬:২৬
ঢাকা: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে দুইজন পদত্যাগের বিষয়ে ইঙ্গিত করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মির্জা ফখরুল পলায়ন নিয়ে কথা বলেছিলেন। যেভাবে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে দুইজন পদত্যাগ করলেন, এতে মনে হচ্ছে বিএনপি থেকে পলায়ন শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি একসময় বহতা নদীর মতোই ছিল। যে নদী এখন শুকিয়ে গেছে, মরে গেছে। তাই পলায়ন শুরু হয়ে গেছে।
সোমবার (৫ জুলাই) সচিবালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) নব নির্বাচিত কমিটির নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে না দেওয়া নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপির সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মনে হচ্ছে খালেদা জিয়া আদালত কর্তৃক জামিনা না পাওয়া সত্ত্বেও বা আদালত থেকে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়া সত্ত্বেও তাকে যে মহানুভবতা দেখিয়ে কারগারের বাইরে রাখা হয়েছে; সেটি মনে হয় সরকারের ভুল হচ্ছে। আবার সিদ্ধান্ত পুর্নবিবেচনা করে বেগম খালেদা জিয়াকে আইন অনুযায়ী আবার জেলখানায় ফিরিয়ে দেওয়া হবে কিনা সে ব্যাপারে একটু চিন্তাভাবনা করতে হবে।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর সংসদের দেওয়া বক্তব্য শালীনতা বিবর্জিত, ফখরুলের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিছু অপ্রিয় সত্য কথা সংসদে বলেছেন। তিনি বলেছেন, জিয়াউর রহমান অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করে ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছিলেন। এই রাজনৈতিক দলটিই জন্মই হচ্ছে অবৈধ যেটি হাইকোর্টও রায়ে বলেছেন।
ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল গঠন করেছেন এটি বলাতে মির্জা ফখরুলদের গাত্রদাহ হচ্ছে, এটি খুবই স্বাভাবিক। কারণ, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির প্রথম সারির নেতারা সবাই অন্য দল করতেন। ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট গ্রহণ করার জন্য ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, রিজভী আহমেদসহ এরা সবাই বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলেন। এটি বলাতেই তাদের গাত্রদাহ হচ্ছে — বলেন তথ্যমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির আসলে সত্যটাকে মেনে নেওয়া প্রয়োজন। অসত্যের ওপর দাঁড়িয়ে বেশি দিন টিকে থাকা যায় না। তাদের নেতাদের শালীনতা শেখানোর জন্য ফখরুলকে আহ্বান জানান মন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে যখন ফোন করেছিলেন তখন কি রকম অশালীন ভাষায় খালেদা জিয়া কথা বলেছিলেন দেশবাসী দেখেছেন। কোকোর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী সমবেদনা জানানোর জন্য খালেদা জিয়ার বাড়িতে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী ২০ মিনিট দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলেন কিন্তু খালেদা জিয়া দরজা খোলেননি, এটা কেমন শালীনতা? যারা এরকম অশালীন আচরণ করে তাদের মুখে শালীনতা শব্দটি মানায় না।
সারাবাংলা/জেআর/একেএম