Monday 13 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মডার্নার সাড়ে ১২ লাখ ভ্যাকসিন পৌঁছেছে দেশে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২ জুলাই ২০২১ ২৩:৫৮ | আপডেট: ৩ জুলাই ২০২১ ০৪:৩৫

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ভ্যাকসিন কার্যক্রমে যুক্ত হলো আরও সাড়ে ১২ লাখ ভ্যাকসিন। যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি ভ্যাকসিনগুলো বিশ্বজুড়ে ভ্যাকসিন সরবরাহের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম কোভ্যাক্সের আওতায় দেশে এসেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তৈরি চারটি ভ্যাকসিন এসে পৌঁছাল।

শুক্রবার (২ জুলাই) রাত ১১ টা ২২ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিজ্ঞাপন

এদিন এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটটি দুবাইয়ের স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৭ মিনিটে দুবাই থেকে ভ্যাকসিন ও যাত্রীবাহী ফ্লাইটটি বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত ১১ টা ২২ মিনিটে ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছিলেন, আগামী দুই দিনের মধ্যে মডার্না এবং সিনোফার্মের মিলিয়ে মোট ৪৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে আসছে।

ভ্যাকসিনের ডোজগুলো গ্রহণ করতে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আবুল মোমেন।

এদিকে আজ রাতে ১২ টা ৩০ মিনিটে চীনের সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন ঢাকায় আসার কথা রয়েছে। আর মডার্নার বাকি ভ্যাকসিন আসবে শনিবার।

ট্রায়ালে মডার্নার টিকার কার্যকারিতা দেখা গেছে ৯৪ শতাংশেরও বেশি। ফাইজারের টিকার মতোই মডার্নার এই টিকা ম-আরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশে ৫০ লাখ মডার্নার টিকা সংরক্ষণের সক্ষমতা আছে।

বিজ্ঞাপন

গত ২৯ জুন মডার্নার ভ্যাকসিন দেশে জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে জরুরি প্রয়োগের অনুমতি পাওয়া এটি সপ্তম ভ্যাকসিন।

ভ্যাকসিনের জরুরি প্রয়োগের জন্য ‘ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশনে’র আবেদন করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর ভ্যাকসিনটির ডোসিয়ার (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পার্ট, সিএমসি পার্ট ও রেগুলেটরি স্ট্যাটাস) মূল্যায়ন করেছে। এরপর সংশ্লিষ্ট কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এটি প্রয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়।

ভ্যাকসিনটি গত ২২ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভুক্ত হয়। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ ও ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশনও পেয়েছে এই ভ্যাকসিন।

মডার্নার ভ্যাকসিনটি ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য। ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশ সরকারের ডিপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে প্রয়োগ করা হবে। প্রথম ডোজ প্রয়োগের চার সপ্তাহ পরে ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এই ভ্যাকসিন শূন্যের নিচে ঋণাত্মক ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে শূন্যের নিচে ঋণাত্মক ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়। তবে এটি ব্যবহারের আগে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ৩০ দিন ও ৮ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে।

এদিকে, এটি দেশে জরুরি প্রয়োগের অনুমতি পাওয়া সপ্তম ভ্যাকসিন। এর আগে ৭ জানুয়ারি সবার আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিল ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর।

এরপর গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার জেনেরিয়াম জয়েন্ট স্টক কোম্পানি উদ্ভাবিত স্পুটনিক-ভি, ২৯ এপ্রিল বেইজিং ইনস্টিটিউব অব বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস উদ্ভাবিত সিনোফার্ম ভ্যাকসিন, ২৭ মে ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন ও ৬ ‍জুন চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন করোনাভ্যাক দেশে প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছিলে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর।

সবশেষ গত ১৫ জুন বেলজিয়ামের জনসন অ্যান্ড জনসন (জ্যানসেন ক্লেগ ইন্টারন্যাশনাল) উৎপাদিত ভ্যাকসিন ‘জ্যানসেন’ জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর।

এর আগে, অনুমতি দেওয়া পাঁচটি ভ্যাকসিনের প্রতিটিরই দু’টি ডোজ করে প্রয়োগ করতে হয়। জ্যানসেন-ই প্রথম একডোজের ভ্যাকসিন হিসেবে দেশে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে।

সারাবাংলা/এসবি/একে

করোনা কোভিড-১৯ টপ নিউজ নভেল করোনাভাইরাস মর্ডানা

বিজ্ঞাপন

লজ্জার হারে বিধ্বস্ত আনচেলত্তি
১৩ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩:১০

আরো

সম্পর্কিত খবর