হিলিতে মিলছে না জ্বরের ওষুধ, সংকটে দাম দ্বিগুণ
২ জুলাই ২০২১ ১৮:০১ | আপডেট: ২ জুলাই ২০২১ ১৯:৩৬
হিলি: করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে জ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় হিলির ফার্মেসিগুলোতে মিলছে না কোনো কোম্পানির জ্বরের ওষুধ। দু’একটি দোকানে মিললেও দ্বিগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে সাধারণত বেক্সিমকো গ্রুপের নাপা সিরাপ, নাপা ট্যাবলেট, নাপা এক্সটেন্ডেড, নাপা এক্সট্রা, নাপা ওয়ান, এবং স্কয়ার গ্রুপের এইচ, এইচ প্লাস, এইচ ৫০০সহ অন্য কোম্পানির জ্বরের ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ফার্মেসি, বাজারের ফার্মেসি এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলের ওষুধে দোকানগুলোতে মিলছে না জ্বরের ওষুধ।
মাসুম নামের স্থানীয় একজন বলেন, ‘আমার মেয়ের জ্বর আসছে, তাই ওষুধের দোকানে জ্বরের ওষুধ নিতে এসেছিলাম। এসে শুনি দোকানে নাকি জ্বরের ওষুধই নেই। এতে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।’
এনতাজ নামের আরও একজন অভিযোগ করে বলেন, ‘যদিও দুই একটি দোকানে ওষুধ মিলছে, কিন্তু চাহিদা থাকায় তারা বেশি দামে তা বিক্রি করছে। সবার ঘরে ঘরে জ্বর দেখে কেউ ওষুধের সংকট তৈরি করলো কি না সেটা প্রশাসনকে ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি।’
বেক্সিমকো’র হিলির রিপ্রেজেন্টিভ আলেমন হোসেন জানান, বর্তমানে সবার ঘরে ঘরে জ্বর হওয়ায় উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বাড়ছে। যে কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে। তবে এই মাসের মধ্যে বাজারে ওষুধের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।’
হাকিমপুর (হিলি) ওষুধ ফার্মেসির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় নাপা এক্সট্রা, নাপা এক্সটেন্ডসহ এই গ্রুপের ওষুধগুলোর সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে এতে আতংকিত হওয়ার কিছুই নেই, খুব দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হবে।’
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিকেল অফিসার গাদ্দাফী সিকদার বলেন, ‘আমাদের উপজেলায় জ্বরের প্রকোপ একটু বেশি। বাজারে কোন ওষুধের সরবরাহ নেই সেটা আমি বলতে পারবো না, তবে জ্বরের সব ধরনের ওষুধের পর্যাপ্ত আমাদের হাসপাতালে আছে।’
হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নুর এ আলম জানান, করোনা মহামারির সংকট মুহূর্তে যদি কোনো ফার্মেসি মালিকরা সংকট তৈরি করে ওষুধের দাম বেশি নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওষুধের সংকট তৈরি করে দাম বেশি নিচ্ছে, এমন অভিযোগ পেলে সেখানে অভিযান চালানো হবে।
সারাবাংলা/এমও