ভারতে শিশুদের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি মেলেনি
২ জুলাই ২০২১ ১১:১৮ | আপডেট: ২ জুলাই ২০২১ ১৫:৩১
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে শিশুদের (২-১৭ বছর বয়সী) জন্য বিশেষায়িত কোভোভ্যাক্স ভ্যাকসিন ট্রায়ালের অনুমতি পায়নি দেশটির সবচেয়ে বড় ভ্যাকসিন উৎপাদক প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ভারতের কেন্দ্র সরকার সিরামের ওই ট্রায়াল আবেদন ফিরিয়ে দিয়েছে।
এর আগে, ২-১১ বছর বয়সী ৪৬০ জন এবং ১১-১৭ বছর বয়সী ৪৬০ জনের ওপর কোভোভ্যাক্স ট্রায়ালের অনুমোদন চেয়েছিল সিরাম ইনস্টিটিউট। হাতে থাকা ভ্যাকসিন ট্রায়ালে অনুমতি না পাওয়া প্রতিষ্ঠানটির জন্য বড় ধাক্কা হয়ে এসেছে বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবর।
এ ব্যাপারে কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত কোভোভ্যাক্স কোনো দেশের ছাড়পত্র পায়নি। এই ভ্যাকসিন আদৌ আন্তর্জাতিক ছাড়পত্র পাবে কি না, তাও স্পষ্ট নয়। প্রাপ্তবয়স্কদের ওপর ভ্যাকসিনটি কেমন প্রভাব ফেলছে, তা নিশ্চিত না হয়ে; শিশুদের ওপর ট্রায়ালের কোনো সুযোগ নেই।
অবশ্য, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কোভোভ্যাক্স বাজারে আসবে বলে সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিল সিরাম। সেখানে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় থাকা অপর ভ্যাকসিন জাইকভ ডি বাজারে আসার কথা তারও আগে।
এই মুহূর্তে ভারতে তিনটি করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে। একটি ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন, দ্বিতীয়টি সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং তৃতীয় রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক।
এছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক নোভ্যাক্স সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে উদ্ভাবিত কোভোভ্যাক্স এবং জাইকভ ডি নামের ভ্যাকসিন দুটি ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে। কিন্তু, সরকারের নতুন এই বক্তব্যে পুরো বিষয়টি নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, ভারতে উৎপাদিত ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে কূটনৈতিক লড়াই শুরু হয়েছে। ইউরোপ ভারতের কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাকসিন কোনোটিই আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃত ভ্যাকসিন তালিকায় রাখেনি।
ফলে এই ভ্যাকসিন নিয়ে ইউরোপের অধিকাংশ দেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে ইউরোপের ওপর চাপ তৈরির চেষ্টা করছেন। বিষয়টি নিয়ে রীতিমতো কূটনৈতিক সংঘাত শুরু হয়েছে বলে জানাচ্ছে ডয়চে ভেলে।
সারাবাংলা/একেএম
কোভিড-১৯ টপ নিউজ নভেল করোনাভাইরাস ভারত শিশুদের করোনা ভ্যাকসিন