অবৈধ ও নকল ফোন বন্ধে এনইআইআর চালু
১ জুলাই ২০২১ ২০:৩৪ | আপডেট: ১ জুলাই ২০২১ ২১:৪৪
ঢাকা: অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট বন্ধে ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টারের (এনইআইআর) কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদারের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে নতুন এই প্রক্রিয়ার উদ্ধোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
এনইআইআর চালুর ফলে অবৈধ হ্যান্ডসেটের ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি কমবে মোবাইল ফোন চুরি সংক্রান্ত অপরাধ। দেশীয় মোবাইন ফোন শিল্পের প্রসারের পাশাপাশি বাড়বে সরকারের রাজস্ব আয়।
এনইআইআর কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গেল ৩০ জুনের মধ্যে চালু থাকা সব মোবাইল হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়েছে। ফলে সেগুলো আর বন্ধ হবে না। কোনো গ্রাহক নতুন মোবাইল ফোন চালু করলে তা বন্ধ না করেই এনইআইআর’র মাধ্যমে যাচাই করা হবে। হ্যান্ডসেটটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে এনইআইআর বাস্তবায়নে নিজ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী এ কে এম শহীদুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘এনআইআর সিস্টেমটি মাল্টিফাংশনাল। মূল সিস্টেমটি ঠিক রেখে সময়ের চাহিদার নিরিখে এর আপডেট করা যাবে।’
অনুষ্ঠানে টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. সাহাব উদ্দিন জানান, এনইআইআর চালুর ফলে টেলিকম খাতে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে। দেশে ফোরজি সেট ব্যবহারকারী মাত্র ২৮ ভাগ উল্লেখ করে স্মার্টফোন ব্যবহার বাড়াতে মোবাইল ফোনের দাম বিবেচনা করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তিনি।
এনইআইআর সিস্টেম টেলিকম খাতের একটা মাইলফলক উল্লেখ করে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে টেলিকম প্রযুক্তি বড় ভূমিকা পালন করবে।’
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব জনাব মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘এনইআইআর চালুর ফলে অবৈধ ও নকল হ্যান্ডসেট আমদানি ও বিক্রি বন্ধ হবে এবং সাইবার অপরাধ কমবে। গ্রামের সাধারণ মানুষও যাতে এনইআইআর সর্ম্পকে অবগত হয় সে লক্ষ্যে ব্যাপক প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।’
উদ্ধোধনী বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার দেশের সব মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীকে নিবন্ধনের আওতায় আনার পাশাপাশি গ্রাহক যাতে কোনোভাবে ভোগান্তি বা হয়রানির শিকার না হন, সে বিষয়ে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন। বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন চালুর ফলে অপরাধী দ্রুত শনাক্ত হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘সিমের সঙ্গে হ্যান্ডসেট নিবন্ধন চালুর ফলে সমাজ ও রাষ্ট্র অধিকতর নিরাপদ হবে।’
১ জুলাই থেকে গ্রাহকের ব্যবহৃত কোন সেট বন্ধ হচ্ছে না উল্লেখ করে সমাপনী বক্তব্যে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, ‘এনআইআর’র সফল বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনের সহায়তায় সাধারণ মানুষকে অবহিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
যারা অবৈধ মোবাইল ফোন সেট তৈরি এবং সেগুলো আমদানি কিংবা বিক্রির সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার কথাও জানান তিনি।
সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম