গাঁজা সেবনের পর অসংলগ্ন আচরণ, এরপর খুন
৩০ জুন ২০২১ ১৯:৪৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পাঁচ দিন আগে চট্টগ্রাম নগরীতে এক যুবককে খুন করে গণপিটুনির শিকার ব্যক্তি হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে ওই ব্যক্তি জানিয়েছে, গাঁজা সেবনের পর নেশাগ্রস্ত হয়ে তিনি এ ঘটনা ঘটিয়েছেন।
বুধবার (৩০ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সরওয়ার জাহানের আদালতে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার ব্যক্তি জবানবন্দি দেন।
এর আগে, গত ২৫ জুন নগরীর ডবলমুরিং থানার বেপারিপাড়া মোড়ে মো. হারেছ (২৭) নামে এক যুবককে গলায় ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয় জনতা জড়িত ব্যক্তিকে ধরে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। হারেছের বাসা পানওয়ালা পাড়ায় এবং তিনি বেপারিপাড়া কাঁচাবাজারের একটি মাছ দোকানের কর্মচারি ছিলেন।
গ্রেফতার মো. জসিমের (৩৫) বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়। নগরীর আগ্রাবাদের মুহুরীপাড়ায় তার বাসা।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের পর গণপিটুনিতে জসিম আহত হয়ে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন ছিল। সুস্থ হওয়ার পর আমরা তাকে আদালতে হাজির করি। জসিম হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে।’
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে জসিম জানিয়েছেন তিনি পেশায় রিকশাচালক। ঘটনার দিন দুপুরে তিনি ও তার বন্ধু রিকশাচালক রাজিব মিলে হালিশহরে একটি আস্তানায় গিয়ে গাঁজা সেবন করেন। এরপর কোমরে একটি ছুরি নিয়ে রাজিবের রিকশায় করে এসে বেপারিপাড়া মোড়ে নামেন। গাঁজা সেবনের কারণে তিনি নেশাগ্রস্ত থাকায় অসংলগ্ন আচরণ শুরু করেন।
প্রথমে নিজেকে ‘সরকারি পাগল’ দাবি করে হুজুরদের গালিগালাজ করতে করতে বেপারিপাড়া মোড় পার হয়ে সড়কের পাশে এসে দাঁড়ান। চৌমুহনী থেকে একটি মোটরসাইকেল বেপারিপাড়ার দিকে আসতে দেখে সিগন্যাল দেয় জসিম। সেটি দাঁড়ানোর পর জসিম গালিগালাজ করতে করতে লাথি মেরে মোটরসাইকেল ফেলে দেন। তখন হারেছ ‘তুই কোন সরকারি পাগল’- এমন কথা বলতে বলতে একটি লাঠি নিয়ে তাকে মারতে আসেন। তখন জসিম কোমর থেখে ছোরা বের করে তার গলায় আঘাত করে। এরপর সে দৌড়ে একটি দোকানের ভেতরে ঢুকে যান। স্থানীয় লোকজন তাকে সেখান থেকে বের করে মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন বলে জবানবন্দিতে জসিম জানিয়েছেন।
সারাবাংলা/আরডি/এসএসএ