মগবাজারে বিস্ফোরণ: ৪৫ ঘণ্টা পর কেয়ারটেকারের মৃতদেহ উদ্ধার
২৯ জুন ২০২১ ২০:৩৪ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ২১:৩২
ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ৪৫ ঘণ্টা পর এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি ওই ভবনের কেয়ারটেকার হারুনের (৬০) বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকেই কেয়ারটেকার নিখোঁজ ছিলেন বলে দাবি করে আসছিল তার পরিবার।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) বিকেল সোয়া তিনটার দিকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিস্ফোরণস্থল থেকে ফায়ার সাভিসের কর্মীরা মৃতদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।’
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিস্ফোরণের প্রায় ৪৫ ঘণ্টা পর ঘটনাস্থল থেকে আরও একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। ধারণা করা হচ্ছে, মৃতদেহটি ওই ভবনে দায়িত্বে থাকা কেয়ারটেকারের। বিস্ফোরণের সময় থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।’
ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ঢাকা মেট্টো) দেবাশীষ বর্ধন বলেন, ‘দুর্ঘটনাস্থল থেকে সিকিউরিটি গার্ড মো. হারুনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। দুর্ঘটনাকবলিত তিনতলা ভবনের ডেব্রিস অপসারণ করে ওই ভবনের কেয়ারটেকার হারুনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।’
আরও পড়ুন-
- মগবাজারের বিস্ফোরণে নিহত ৭
- হঠাৎ বিস্ফোরণ, তারপর ধ্বংসস্তূপ [ছবি]
- মগবাজারে বিস্ফোরণ: ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি
- মগবাজারে বিস্ফোরণ: আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি
- এসি থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা, ধারণা পুলিশ-ফায়ার সার্ভিসের
- মগবাজারে বিস্ফোরণ, দগ্ধ-আহত ১৯ জন ঢামেক হাসপাতালে
- মগবাজারে বিস্ফোরণ: যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে ভবনটি
- মগবাজারে বিস্ফোরণ: হাসপাতালে ৪ জনের মৃত্যু, চিকিৎসাধীন অর্ধশত
- ‘মগবাজারের বিস্ফোরণ তদন্তে বোমা ও স্পেশাল ইউনিটের সমন্বয়ে কমিটি’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে হেনা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে আমার বাবা নিখোঁজ ছিলেন। বাবার ছবি নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে খুঁজে বেরিয়েছি। কোথাও বাবাকে পাইনি। আনেকবার কতৃপক্ষকে বলেছি, ধ্বংস স্তুপের নিচে আমার বাবার লাশ আছে। কিন্তু তারা আমার কথার কোন দাম দেয়নি। আজ ঠিকই ধ্বংসস্তুপ থেকে লাশ পেয়েছে।’
হেনা বেগম জানায়, তাদের বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার দারোগা বাড়ি গ্রামে। বর্তমানে মগবাজার ওই ভবনের নিচ তলাতে থাকতো। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সেখানে কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় মগবাজারের ৭৯ আউটার সার্কুলার রোডে শরমা হাউজে ভয়াবহ বিস্ফোরণে ঘটে। বিস্ফোরণের শব্দে আশেপাশের বেশ কয়েকটি ভবন এবং কয়েকটি যাত্রীবোঝাই বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিস্ফোরণের ঘটনায় সাত জন নিহত এবং অর্ধশত আহত হন বলে জানায় পুলিশ।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএসআর/পিটিএম