Sunday 19 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জনগণকে বিনামূল্যেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ জুন ২০২১ ১৪:০৯ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২১ ১৫:৫৭

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী জুলাই মাস থেকে আবার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আসবে। দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। যত টাকা প্রয়োজন হোক ভ্যাকসিন আনা হবে এবং সব নাগরিককে বিনামূল্যেই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। এসময় করোনা রোগীদের সেবায় নিয়োজিত ২০ হাজার ৫০০ চিকিৎসক ও নার্সকে ১০৪ কোটি টাকা বিশেষ সম্মানি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশেষ করে বিদেশে যারা যাবেন, তাদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হবে। ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে।’

ভারত ভ্যাকসিন রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা সাময়িকভাবে সমস্যায় পড়ে গেছি উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, কিন্তু আল্লাহর রহমতে বর্তমানে আমাদের ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এখন আর কোনো সমস্যা হবে না। চীন, রাশিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশ ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। তাই আমরা আশা করছি জুলাই মাস থেকে আরও ভ্যাকসিন আসবে। আমরা ব্যাপক হারে ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করতে পারব।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই বাজেটে স্বাস্থ্যখাতকে সর্বাপেক্ষা অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। গত বছর আমরা করোনার প্রথম ঢেউ সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। সেই অভিজ্ঞতায় দ্বিতীয় ঢেউয়ে আমরা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। মহামারি মোকাবিলা করে জনস্বাস্থ্য ও জনজীবন সুরক্ষা করতে আমরা সক্ষম হবো।’

বিজ্ঞাপন

করোনা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্যখাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ, প্রণোদনা ও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থার জানিয়ে বলেন, ‘করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ এখনো বিদ্যমান থাকায় যেকোনো জরুরি চাহিদা মোকাবিলায় আমরা এ বাজেটে ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ রেখেছি। ভবিষ্যতে স্বাস্থ্যখাতে অভিঘাত থেকে মুক্তি পেতে সমন্বিত বিজ্ঞান গবেষণা ও উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়েছে। বাজেটে এ খাতে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।’

সংসদ নেতা বলেন, ‘ভ্যাকসিন কেনার জন্য বাজেটে আমরা ১৪ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছি। বিভিন্ন উৎস হতে ইতোমধ্যে এক কোটি ১৪ লাখ ৬ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন সংগ্রহ করেছি। যারা বিদেশ যাচ্ছে তাদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যাতে বিদেশে গিয়ে তাদের কোয়ারেনটাইন করতে না হয়। পর্যায়ক্রমে দেশের ৮০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। কোন ভ্যাকসিন কোন বয়স পর্যন্ত দেওয়া যাবে তার সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তা বিবেচনায় রেখে আমরা স্কুল থেকে শুরু করে সবাই যাতে ভ্যাকসিন পায় তার পরিকল্পনা করেছি। এর মাধ্যমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতে খুলতে পারে সেই ব্যবস্থা নেবো।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসে সারাবিশ্ব ক্ষতিগ্রস্ত, এমন সময় আমরা বাজেট দিয়েছি। একদিকে সারাবিশ্ব করোনায় আক্রান্ত অপরদিকে আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছি। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করছি। একইসময় দেশকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে পেরেছি।’

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর