সালিশে কিশোরীকে বিয়ে-তালাক: চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা
২৮ জুন ২০২১ ১৮:০১
পটুয়াখালী: কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার, নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী মাওলানা মো. আইয়ুবসহ চেয়ারম্যানের ৫ সহযোগির নাম উল্লেখ করে পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আমলি আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পটুয়াখালীর বাউফলে প্রেমের সম্পর্কের ঘটনার সালিশ বৈঠকে কিশোরী কন্যাকে জোরপূর্বক বিয়ে করা, তালাক দেওয়া এবং প্রেমিক যুবককে মারধরের ঘটনায় তারা অভিযুক্ত।
সোমবার (২৮ জুন) সকালে প্রেমিক যুবক রমজান হাওলাদারের বড় ভাই হাফেজ মো. আল ইমরান বাদী হয়ে বিচারক মো. জামাল হোসেনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে জেলা পিবিআই প্রধানকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছে।
মামলার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আল আমিন জানান, অভিযুক্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। প্রথমত তিনি কন্যা নাবালিকা জেনেও জোরপূর্বক তাকে বিয়ে করেন। রমজান হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করেন। তাকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়।
এ ঘটনা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হলে তালাকনামা সৃষ্টি করেন। আদালতে কিশোরী কন্যা নাজমিন আক্তার (১৩) এর জন্ম সনদ এবং রমজান হাওলাদারের চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এমও