পালানো যাদের স্বভাব, তারাই পালানোর কথা বলে: কাদের

ঢাকা: আওয়ামী লীগের শেকড় এ দেশের মাটির অনেক গভীরে বলে আওয়ামী লীগকে কখনো পালানোর কথা ভাবতে হয় না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, এ দেশের সব অর্জন এবং মানুষের সুখ-দুঃখের সঙ্গে রয়েছে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা। মাটি ও মানুষের আস্থার ঠিকানা আওয়ামী লীগ পালানোর দল নয়। আওয়ামী লীগের শেকড় এ দেশের মাটির অনেক গভীরে। তাই পালানো যাদের স্বভাব, তারাই পালানোর কথা ভাবে ও বলে।

সোমবার (২৮ জুন) সকালে সচিবালয়ে নিজ দফতরে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। ‘জনগণ জেগে উঠলে আওয়ামী লীগ পালানোর পথ খুঁজে পাবে না’— বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এ জবাব দেন।

বিএনপিকে ‘জনগণের সম্পদ লুণ্ঠনকারী’ অভিহিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি পলায়নপরতার রাজনীতিতে অভ্যস্ত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কি ভুলে গেছেন তাদের কোন নেতা মুচলেকা দিয়ে লন্ডনে পালিয়েছে? সেটি কিন্তু দেশের মানুষ ভালো করেই জানে। বড় বড় কথা না বলে সাহস থাকলে সেই দুর্নীতিবাজ নেতাকে বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনারও আহ্বান জানান তিনি।

বিএনপি নেতাদের জনগণকে জেগে ওঠার আহ্বান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণ জেগে উঠেছে বলেই বিএনপির মুখোশ উন্মোচিত হয়েছে এবং সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলোতে বিএনপির ভরাডুবি ঘটেছে। বিএনপির অপরাজনীতি এখন মানুষের কাছে স্পষ্ট হয়ে গেছে। তাই দেশের মানুষ এখন আর তাদের বিশ্বাস করে না।

বিরোধী দল হিসেবে বিএনপি শক্তিশালী হোক— এমন প্রত্যাশার কথাও উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, কোমরভাঙা, মেরুদণ্ডহীন ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা কোনো দল বিরোধী দল হিসেবে সফল হতে পারে না। বিরোধী দল শক্তিশালী ও দায়িত্বশীল হলে গণতন্ত্র বিকাশের পথ অধিকতর মসৃণ হয়। বিএনপির এত শক্তি ও জনসমর্থন থাকলে ভোটের দিন দুপুরে কেন নির্বাচন থেকে সরে যায়? বারবার আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েও নিজ দলের নেতাকর্মীদেরও কেন মাঠে নামাতে পারে না?— প্রশ্ন রাখেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, বিএনপির শক্তি হলো— রঙ-বেরঙের রঙিন মুখোশে তাদের ভেতরের মুখচ্ছবি কুৎসিত কালো এবং দেশবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করে নৈরাজ্য তৈরি করা। কিন্তু জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি এবং ঠিকানা।

এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

ফাইল ছবি

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

ওবায়দুল কাদের