মগবাজারে বিস্ফোরণ: দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি সংসদে
২৮ জুন ২০২১ ১৫:৩৫ | আপডেট: ২৮ জুন ২০২১ ১৫:৫৫
ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িতদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে। সোমবার (২৮ জুন) জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু ও বিএনপি’র সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ এ দাবি জানান।
সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে যারা মারা গেছেন এবং আহত হয়েছেন বিস্ফোরণের ঘটনায় দায়ীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ নিয়ে ভুক্তভোগীদের দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘মগবাজারের দুর্ঘটনায় ৭ জন মারা গেছেন। আহতদের অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি। ঢাকা শহরে যে সমস্ত হোটেল বা রেস্টুরেন্ট আছে এগুলোতে যে গ্যাস স্টোভ বা সিলিন্ডার ব্যবহার করা হয় সেগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিদর্শন হয় কি না এই প্রশ্নটি সামনে আসছে। কারণ আমরা দেখেছি বিভিন্ন প্রাইভেট গাড়িতে যে সমস্ত গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে সেগুলো ব্লাস্ট হওয়ার কারণে অনেক অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে এবং অনেক মানুষ মারা যাচ্ছেন।’
মুজিবুল হক চুন্নু জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করে বলেন, ‘এই যে ঘটনাটি গতকাল রাতে ঘটল এটি যদি গ্যাসের কারণে হয়ে থাকে তাহলে প্রকৃত কারণটি কী? সেখানে গ্যাসের যে এত বড় স্টোর ছিল তা কি কোনো সময় ইন্সস্পেকশন করা হয়েছিল? এমনকি সারাদেশে যে সমস্ত জায়গায় গ্যাসের সিলিন্ডার স্টোর করা হয় সেগুলো প্রয়োজনীয় ইন্সপেকশন হয় কিনা? আমাদের দাবি এগুলো যেন প্রয়োজনীয় ইন্সস্পেকশন করা হয়। এত মানুষ মারা গেল এতে কি কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে? যেসব হোটেল রেস্টেুরেন্টের কারণে এ ঘটনা ঘটছে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করা হবে কিনা? এ বিষয়ে একটি বিবৃতি দিতে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি) কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
এরপরই বিএনপি’র সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ পয়েন্ট অব অর্ডারে বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি এ সব ঘটনা ঘটছে। গত বছর নারায়ণগঞ্জের মসজিদে নামাজরত অবস্থায় প্রায় ৪০ জন মানুষ মারা গেছেন, অনেকে আহত হয়েছেন। তাদেরকে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গতকালকে রাজধানীর মগবাজারের মতো ব্যস্ততম এলাকায় যে দুর্ঘটনাটা ঘটেছে এর দায় সরকারকে নিতে হবে। এখানে (সংসদে) বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নেই।’
হারুনুর রশীদ বলেন, ‘যেখানে-সেখানে রেস্টুরেন্ট উঠছে সেগুলোর সেফটি আছে কিনা? আমরা বিভিন্ন দেশে ঘুরে দেখি সেখানে লেখা থাকে-সেফটি ফার্স্ট। কিন্তু বাংলাদেশের কী অবস্থা? আজকে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়ে লোক মারা যাচ্ছে। এই কাজগুলোতো বিদ্যুৎ বিভাগের। তাদেরকে তো জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। রাজধানীর মতো একটি জায়গায় যদি এ রকম একটি ঘটনা ঘটে…। সেখানে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কী ভয়াবহ। কী একটা অবস্থা। সেখানে অনেকগুলো বাড়ি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এটির দায় কে নেবে? এখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আছেন- আমি বিষয়টি অনুরোধ করব বিদ্যুৎ বিভাগকে কঠোরভাবে নির্দেশ দিতে হবে। যারা বাসা বাড়িতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ নিচ্ছে এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে প্রতিনিয়ত মানুষ মরবে। এখানে মাননীয় সংসদ নেতা আছেন তার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে