Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ড্রাগন চাষে সফলতার নতুন গল্প

সুলতান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৮ জুন ২০২১ ০৮:৫৬ | আপডেট: ২৮ জুন ২০২১ ০৮:৫৮

লালমনিরহাট: কারখানা শ্রমিক থেকে ড্রাগন চাষী হয়ে উঠেছেন লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার আবু তালেব। গল্পের নায়ক আবু তালেব ড্রাগন চাষ শুরু করে নিজের নামই হারাতে বসেছেন। এলাকাবাসী তাকে ডাকতে শুরু করেছেন ড্রাগন নামেই। এতে খুব একটা আপত্তিও নেই আবু তালেবের। যে ড্রাগনে ঘুরেছে ভাগ্যের চাকা, সেই নাম তার কাছে মধুর মতোই।

আবু তালেব আদিতমারী উপজেলার বড় কমলাবাড়ী গ্রামের বটতলা গ্রামের বাসিন্দা। ২০১৯ সালে নিজের ৬৫ শতাংশ জমিতে ২ হাজার ৫২টি ড্রাগন গাছের চারা রোপন করেন তিনি। এখানে খরচ হয় তার প্রায় ৫ লাখ টাকা। ৮ মাস পরেই ড্রাগন বাগানে ফল আসতে শুরু করে। কোনো প্রকার রাসানিক ওষুধ ছাড়াই নিজের তৈরিকৃত জৈব সার প্রয়োগ করে ড্রাগন চাষ করে ইতোমধ্যেই পুরো জেলায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আবু তালেব। তার ড্রাগন বাগান দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার লোকজন ভিড় জমাচ্ছেন।

বিজ্ঞাপন

আবু তালেব জানান, একটি ড্রাগন গাছ বছরে ১০ মাস ফল দেয়। এর জীবনকাল ১২ বছর। এই বাগান থেকে কোটি টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, ফরিদপুরে চাকরির সময় থেকে তার ড্রাগন চাষে আগ্রহ জন্মায়। সেখানে তিনি একটি নেট জাল কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। একবার তাদের অফিস পরিদর্শনে আসেন বিদেশি কিছু লোকজন। সে সময় ফার্ম মালিক তাদেরকে ড্রাগন ফল দিয়ে আপ্যায়ন করেন। সেখানেই ড্রাগন ফলের স্বাদ নেওয়ার সুযোগ হয় তার। সেই থেকে এ পুষ্টিকর ফলের বাগান করার আগ্রহ জন্মায় তালেবের। এরপর দুই ভাইয়ের সহযোগিতায় ড্রাগন বাগান করার উদ্যোগ নেন।

সফল কৃষক আবু তালেব জানান, ড্রাগন ফল বিক্রির পাশাপাশি প্রায় ২ হাজার চারা মজুদ রয়েছে। প্রতিটি চারা ৫০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। চারা বিক্রি থেকেও প্রায় ২ লাখ টাকা আসবে বলে জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

পুষ্টিগুণের কারণে আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশে জনপ্রিয়তার শীর্ষে ড্রাগন ফল। কাণ্ড থেকে পাতাহীন ড্রাগন গাছ জন্মায়।

সারাবাংলা/এএম

আদিতমারী আবু তালেব ড্রাগন চাষ লালমনিরহাট

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর