‘নৌবাহিনীতে আরও আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম যুক্ত হবে’
২৭ জুন ২০২১ ২২:০৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল।
রোববার (২৭ জুন) চট্টগ্রামের নেভাল একাডেমিতে নবীন কর্মকর্তাদের গ্রীষ্মকালীন রাষ্ট্রপতির কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা জানান। মিডশীপম্যান ২০১৮/বি এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার (ডিইও) ২০২১/এ ব্যাচের নবীন কর্মকর্তারা কুচকাওয়াজে অংশ নেন। নৌবাহিনীর প্রধান কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন।
নবীন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, ‘বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য প্রজ্ঞায় বাংলাদেশ আজ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। তার ঐকান্তিক ইচ্ছা ও পৃষ্ঠপোষকতায় বর্তমানে বাংলাদেশ নৌবাহিনী একটি ত্রিমাত্রিক ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত। গত এক দশকে নৌবহরে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আধুনিক যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার, মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফটসহ আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে। সম্প্রতি নতুন ছয়টি যুদ্ধজাহাজ নৌবহরে কমিশনিং করা হয়েছে।’
ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আরও উন্নত জাহাজ এবং আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সংযোজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান নৌবাহিনী প্রধান। তিনি বলেন, ‘নির্মাণাধীন ঘাঁটিগুলোর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে। নৌবাহিনী পরিচালিত ডকইয়ার্ড ও শিপইয়ার্ডগুলোর আধুনিকায়নের কাজও চলমান রয়েছে।’
সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের কারণে দেশে করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নৌবাহিনীর প্রত্যেক সদস্যের জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগময় এ পরিস্থিতির মধ্যে নবীন কর্মকর্তারা তাদের মনোবল অক্ষুন্ন রেখে প্রশিক্ষণ শেষ করে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছেন। তারা নিজেদেরকে যোগ্য কর্মকর্তা হিসেবে গড়ে তুলবে এবং ভবিষ্যৎ কর্মজীবনে প্রশিক্ষণ কাজে লাগিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা ও অগ্রগতির পথে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে সক্ষম হবে বলে আমি আশা করছি। একইসঙ্গে সশস্ত্র বাহিনীর গর্বিত সদস্য হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশপ্রেম ও শৃঙ্খলাবোধকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের জন্য কাজ করতে হবে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই নৌবাহিনীর ৪৭ জন মিডশীপম্যান এবং ১৮ জন ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসারসহ মোট ৬৫ জন নবীন কর্মকর্তা কমিশন লাভ করেছেন। এদের মধ্যে ৯ জন নারীও আছেন। এদের মধ্যে মিডশীপম্যান ব্যাচের সাইফ খান বিজন সকল বিষয়ে সর্বোচ্চ মান অর্জন করে সেরা চৌকস মিডশীপম্যান হিসেবে ‘সোর্ড অব অনার’ লাভ করেছেন।
এছাড়া মিডশীপম্যান মো. আবুল কাশেম প্রশিক্ষণে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মান অর্জনকারী হিসেবে ‘নৌ প্রধান স্বর্ণ পদক’ এবং ডাইরেক্ট এন্ট্রি অফিসার ব্যাচ থেকে অ্যাক্টিং সাব লেফটেন্যান্ট মো. মেহেদী হাসান তুহিন শ্রেষ্ঠ ফলাফল অর্জনকারী হিসেবে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ রুহুল আমিন স্বর্ণ পদক’ লাভ করেছেন। পরে নবীন কর্মকর্তারা আনুষ্ঠানিভাবে শপথ গ্রহণ করেন এবং তাদের র্যাঙ্ক ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হয়। এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আরডি/এনএস
আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম টপ নিউজ নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল বাংলাদেশ নৌবাহিনী