Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কয়লাভিত্তিক ১০ বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিলের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ

সারাবাংলা ডেস্ক
২৭ জুন ২০২১ ১১:৩৮ | আপডেট: ২৭ জুন ২০২১ ১৩:৫৯

তহবিল সংগ্রহে সমস্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তাবিত ১০টি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন না করার সরকারি সিদ্ধান্তকে সতর্ক সাধুবাদ জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তবে একইসঙ্গে কয়লা বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর এলএনজিভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বিনিয়োগের সিদ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করছে সংস্থাটি।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (২৬ জুন) এক বিবৃতি টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান সাধুবাদ ও উদ্বেগের কথা জানান।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, পরিবেশবাদীদের ক্রমাগত উদ্বেগ এবং স্থানীয় জনগণের তীব্র আপত্তি ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও পরিবেশগত প্রতিপন্ন এলাকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় জেলায় সরকার বড়সংখ্যক কয়লাভিত্তিক প্রকল্প স্থাপনের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, তা থেকে ১০টি কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বাতিলের সিদ্ধান্ত সরকারের বোধোদয় হিসেবে ধরে নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা বিশ্বাস করতে চাই, প্যারিস চুক্তিসহ ২০৫০ সালের মধ্যে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকার অধিকতর সচেষ্ট হবে। সেইসঙ্গে সংশোধন হতে যাওয়া বিদ্যুৎ মহাপরিকল্পনায় কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকে পুরোপুরি সরে আসার সুনির্দিষ্ট ঘোষণা দেওয়া হবে।

৯ হাজার ৩৪৭ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই ১০টি প্রকল্প বাতিল করা হলে, ১৯টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প সরকারের পরিকল্পনায় রয়েছে। যার মধ্যে রামপাল, মাতারবাড়ি ও মিরসরাইসহ আটটি কেন্দ্র বাস্তবায়নাধীন। এ পরিকল্পনার বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এটা খুবই উদ্বেগের যে, লক্ষ্যমাত্রার প্রায় চারভাগের একভাগ বিদ্যুৎ সরকার কয়লাভিত্তিক কেন্দ্র থেকেই পেতে চাইছে। আবার বাতিলকৃত কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবর্তে ব্যয়বহুল এলএনজি এবং জ্বালানি তেলনির্ভর কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। যেটি বাংলাদেশকে ২০৩০ সলের মধ্যে এশিয়ার অন্যতম কয়লা ও কার্বন দূষণকারী দেশে রূপান্তরিত করবে, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সরকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের সাথে সাংঘর্ষিক। বিধায় কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাস করতে চাই, সরকার শেষপর্যন্ত শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়ে কোনো বিশেষ গোষ্ঠী বা দেশের স্বার্থ রক্ষায় কয়লা এবং এলএনজির মতো জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখবে না।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সার্বিক বিবেচনায় টিআইবি আশা করে, ২০৫০ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে শতভাগ জ্বালানি সংগ্রহে সরকার একটি কার্যকর রূপরেখা প্রণয়নের মাধ্যমে এ খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করবে। সর্বোপরি, জ্বালানি খাতে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার কঠোরভাবে নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

সারাবাংলা/এএম

১০টি কয়লাভিত্তিক প্রকল্প কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র

বিজ্ঞাপন

নতুন বছরে টেকনোর নজরকাড়া অফার
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:১০

চমক জয়া আহসান!
৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১৮:০৫

আরো

সম্পর্কিত খবর