ট্যাংক বসলেও নওগাঁ হাসপাতালে চালু হয়নি অক্সিজেন সরবরাহ
২৬ জুন ২০২১ ১৯:০২
নওগাঁ: জেলা সদর আধুনিক জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগীসহ অন্যান্য জরুরি রোগীদের জন্য লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহের জন্য লিকুইডের ট্যাংকি স্থাপনসহ অন্য কাজ শেষ হলেও লিকুইডের অভাবে চালু করা সম্ভব হচ্ছে না লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা। অথচ এই হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ চালু হলে ৩০ লাখ মানুষের আবাস ও উচ্চ সংক্রমণের সীমান্ত জেলা নওগাঁ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৯৬ জন রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সম্ভব বলে জানিয়েছেন নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (ভারপ্রাপ্ত) ও নওগাঁ সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম আবু হানিফ।
ডা. এ বি এম আবু হানিফ বলেন, ‘বর্তমানে নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতাল ও জেলার আরও ৩ উপজেলায় যথাক্রমে সাপাহার, পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু আছে। এসব প্রতিটি কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ কেন্দ্রে এক সাথে ৩০ জন করে রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব। ইতোমধ্যে বড় বড় সিলিন্ডারে ভরানো অক্সিজেন থেকে করোনা রোগীসহ অন্যান্য রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে ২৫০ শয্যার নওগাঁ সদর জেনারেল হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহের জন্য লিকুইড ট্যাংকি স্থাপনসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। শুধুমাত্র লিকুইড সরবরাহ না থাকার কারণে আমরা রোগীদের ট্যাংকি থেকে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারছি না। অথচ লিকুইড পাওয়া গেলে এই হাসপাতালে একসঙ্গে ৯৬ জন রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব হবে।’
কেন লিকুইড পাওয়া যাচ্ছে না এমন প্রশ্নে তত্বাবধায়ক ডা. এ বি এম আবু হানিফ বলেন, ‘এটি পেতে হলে বিস্ফোরক দ্রব্যের লাইসেন্স প্রয়োজন। সেটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করি খুব শিগগিরই লাইসেন্স প্রাপ্তি সাপেক্ষে লিকুইড অক্সিজেন সরবরাহ করা হবে।’
সারাবাংলা/এমও