Wednesday 08 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লকডাউন নয় সারাদেশে সম্পূর্ণ শাটডাউন জারির সুপারিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ জুন ২০২১ ১৯:১৮ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২১ ২২:৫৭

বিধিনিষেধের আওতায় গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিকল্প পদ্ধতিতে সারাদেশে যাতায়াত করছে মানুষ, বৃহস্পতিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে তোলা ছবি

ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লকডাউন নয়, অন্তত ১৪ দিনের জন্য সারাদেশে ‘সম্পূর্ণ শাটডাউন’ জারির সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরার্মশক কমিটি। ভারতীয় ধরন হিসেবে পরিচিত ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে’র সামাজিক সংক্রমণ বা কমিউনিটি ট্রান্সমিশন হওয়ায় প্রতিরোধমূলক এ পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) সন্ধ্যায় কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. শহিদুল্লাহ’র সই করা সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জাননো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

কমিটির ৩৮তম সভায় আলোচনার ভিত্তিতে বিজ্ঞপ্তিতে কারিগরি পরামর্শক কমিটি বলছে, দেশে করোনাভাইরাসের বিশেষ করে ডেলটা ধরনের সামাজিক সংক্রমণ (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) চিহ্নিত হয়েছে। এই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের জীবাণুর সংক্রমণ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। দেশে এরই মধ্যে এই রোগের প্রকোপও অনেক বেড়েছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য বিশ্লেষণে সারাদেশেই উচ্চ সংক্রমণ এবং ৫০টিরও বেশি জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ লক্ষ করা যায়। কিন্তু সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য খণ্ড খণ্ডভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।

এতে বলা হয়, অন্যান্য দেশ, বিশেষ করে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এর বিস্তৃতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাদের মতামত অনুযায়ী, যেসব স্থানে পূর্ণ শাটডাউন প্রয়োগ করা হয়েছে, সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বর্তমান পরিস্থিতিতে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য তাই কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ শাটডাউন দেওয়ার সুপারিশ করছে বলে উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়, এই সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালতসহ সবকিছু সম্পূর্ণভাবে বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।

দেশে কোভিড-১৯ রোগের সাম্প্রতিক ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ ও আলোচনা হয় কমিটির বৈঠকে। দেশের ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে বলেও অভিমত জানানো হয়। কমিটি বলছে, প্রধানমন্ত্রী কোভিড-১৯-এর ভ্যাকসিন সংগ্রহের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছেন। বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ, লাইসেন্সের মাধ্যমে দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন করা ও নিজস্ব ভ্যাকসিন তৈরির জন্য সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে গবেষণা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টার প্রতি কমিটি পূর্ণ সমর্থন জানায়।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

কারিগরি পরামর্শক কমিটি জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি টপ নিউজ সম্পূর্ণ শাটডাউন