আমি বলির পাঠা হয়েছি: মোস্তাক
২৪ জুন ২০২১ ১৬:২৪ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২১ ২২:১০
ঢাকা: জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যানসহ পার্টির সকল পদ-পদবি থেকে মোস্তাকুর রহমান মোস্তাককে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে মোস্তাক জানিয়েছেন তিনি বলির পাঠা হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) জাপা দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে মোস্তাককে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি গঠনতন্ত্রের ২০/১ (১) ক ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাকুর রহমান মোস্তাককে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব ধরনের পদবি থেকে অব্যাহতি করেছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঢাকা-১৪ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক। কিন্তু পার্টির নেতাদের সঙ্গে কোনোরকম আলাপ-আলোচনা ছাড়াই তিনি নিজ মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
এ সর্ম্পকে মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক সারাবাংলাকে বলেন, ‘মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার আগে জাপা চেয়ারম্যান এবং মহাসচিবকে এ কথা জানিয়েছি। আমি নির্বাচনে ওয়ার্ক করতে পারছি না। আমি বলেছিলাম, আপনারা সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা দেশবাসীকে জানান।’
‘চেয়ারম্যান জি এম কাদের আমাকে জবাব দিলেন, এ সব কিছুই করতে পারব না। নির্বাচনে লড়াই করো। তখন তাকে আমি জানালাম, নির্বাচনের আগেই ঘরে টিকতে পারছি না। জাপার কর্মীরা কাজ করতে পারছে না। জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের এবং মহাসচিব জিয়া উদ্দিন বাবলু এ কথা জানিয়েছি। তারাও কোনোভাবেই আমাকে সহায়তা করছে না। নির্বাচনের জন্য দল থেকে তো কোনো টাকা তো দেয়নি। নিজের টাকায় নির্বাচন করছি। শুধু অনুরোধ করলাম একটি সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি দেশবাসীকে অবহিত করেন। তাও করতে চায় না, তা হলে কি আমি বলির পাঠা হবো?’
প্রতিপক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দাঁড়িয়েছেন এমন অভিযোগ উঠেছে দলের মধ্যে আসলে কি তাই? জবাবে মোস্তাক বলেন, ‘আমার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খানের সঙ্গে আমার কোনো দেখা হয়নি। আমি তার সঙ্গে কোনো বৈঠক করিনি। কারো কাছ থেকে চার আনা পয়সা নেইনি। আমি পার্টি থেকে কোনো সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। সে জন্য আমি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। আমাকে দল থেকে বহিষ্কার করা ঠিক হয়নি। আমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে।’
এর আগে কুমিল্লা-৫ আসনের উপনির্বাচনেও জাপা প্রার্থী মো. জসিমউদদীন একইভাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। জসিমকেও একই দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। টাকার বিনিময়ে তারা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করছে বলে অভিযোগ দলটির নেতাকর্মীর।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে