ঈদ সামনে রেখে কোটি টাকারও বেশি জাল নোট বাজারে, গ্রেফতার ১
২২ জুন ২০২১ ১৯:৫৭ | আপডেট: ২২ জুন ২০২১ ২২:১০
ঢাকা: আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে পশুর হাটসহ বিভিন্ন স্থানে জাল টাকা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাকারী একটি চক্রকে শনাক্ত করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এই চক্রের অন্যতম সদস্য নাইমুর হাসান তৌফিককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। র্যাব বলছে, এই চক্রটি এরই মধ্যে কোটি টাকারও বেশি জাল টাকা বাজারে ছড়িয়ে দিয়েছে। ঈদুল আজহার আগে আরও জাল টাকা ছড়িয়ে বাজার সয়লাবের পরিকল্পনা ছিল তাদের। চক্রটি এক লাখ জাল টাকার বান্ডিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করত বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (২২ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টায় কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-১০-এর অধিনায়ক (সিও) অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
র্যাব সিও বলেন, মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল টাকা ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামসহ জাল টাকার চক্রের সদস্য তৌফিককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১০। তৌফিক রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
গ্রেফতারের সময় তৌফিকের কাছ থেকে ৫০ লাখ ২৮ হাজার টাকা সমমূল্যের জাল নোট ও ও জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এসব সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে জাল টাকা তৈরিতে ব্যবহৃত একটি ল্যাপটপ ও একটি প্রিন্টার এবং একটি মোবাইল ফোন।
র্যাব সিও বলেন, গ্রেফতার তৌফিক বাড্ডা এলাকায় একটি অভিজাত বাসা ভাড়া নিয়ে জাল নোট তৈরি করতেন। কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তৈরি হয় এই জাল টাকা। একটি পক্ষ জাল টাকার কাগজ, রঙসহ নিরাপত্তা সরঞ্জাম সরবরাহ করে থাকে। টাকা তৈরির পরে তা বিক্রি করা হয় সরাসরি ও অনলাইনে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও দু’জনের সন্ধান পেয়েছে র্যাব। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।
অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, গ্রেফতার তৌফিক একটি সংঘবদ্ধ জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। প্রায় তিন বছর ধরে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে জাল নোট তৈরি করে আসছেন। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখেই লাখ টাকার জাল নোটের একেক বান্ডিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করত এই চক্রটি।
এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব-১০-এর সিও বলেন, একটি জেলার একজন জাল নোট প্রস্তুতকারীর সঙ্গে গ্রেফতার তৌফিকের হাতেখড়ি হয় জাল নোট তৈরির প্রক্রিয়ায়। কিভাবে জাল নোট প্রস্তুত করা হয়, সেই ব্যক্তিই তাকে শিখিয়ে দেন। ওই ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনতে আমাদের অভিযান চলছে।
ঈদের আগে জাল টাকা নিয়ে র্যাব সতর্ক থাকবে জানিয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান বলেন, বিভিন্ন গরুর হাটে জাল টাকা পরীক্ষার জন্য র্যাবের মেশিন থাকবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকেও র্যাবকে সহয়তা করা হয়ে থাকে। ক্রেতা বা ব্যবসায়ীরা এসব মেশিন দিয়ে টাকা পরীক্ষা করে নিতে পারবেন। টাকাগুলো ভালো করে চেক করতে হবে। একবার নয়, দুইবার নয়, একাধিকবার টাকাগুলো পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন তিনি।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর