Sunday 19 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৭ আসামির জামিন স্থগিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ জুন ২০২১ ১৬:০৮ | আপডেট: ২১ জুন ২০২১ ১৮:২৭

ঢাকা: সাতক্ষীরায় ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (২১ জুন) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এম আমিন উদ্দিন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এর আগে, গত ২৬ মে ওই সাত আসামিকে জামিন দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। আসামিরা হলেন আবদুস সাত্তার, গোলাম রসুল, আব্দুস সামাদ, জহিরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন ও মনিরুল ইসলাম।

পরে ২৭ মে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে ৩০ মে পর্যন্ত জামিন স্থগিত করেছিলেন। একই সঙ্গে এ বিষয়টি শুনানির জন্য নিয়মিত বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।

সে অনুযায়ী মামলাটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য এলে ৩০ মে রাষ্ট্রপক্ষকে তিন সপ্তাহের মধ্যে লিভ টু আপিল করতে বলা হয়। এ সময় পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া জামিনাদেশ স্থগিত থাকার কথা জানায় আদালত। পরে ওই আদেশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল আবেদন করে। সে আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে আজ (২১ জুন) আদেশ দেন আপিল বিভাগ।

২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ার এক বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনার পর ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখে মাগুরায় যাচ্ছিলেন। তখন যশোর-সাতক্ষীরা সড়কে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়ি বহর পৌঁছালে একদল সন্ত্রাসী লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তারা গুলিবর্ষণ করে এবং বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়।

বিজ্ঞাপন

এ সময় বিরোধীদলীয় নেতা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়ি বহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও এ ঘটনায় আহত হন। ওইদিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন।

২০১৫ সালে এ ঘটনায় আদালতে চার্জশিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে হত্যাচেষ্টা মামলায় এক আসামি রাকিবের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিল উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিলে আবেদন করা হয়। ২০১৭ সালে ওই আবেদনের একই সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।

গত বছর ৮ অক্টোবর ওই রুল খারিজ করে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাকিব। এ আবেদনে আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এরপর বিচার শেষে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গত ৪ ফেব্রুয়ারি এ মামলায় বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

আওয়ামী লীগ টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর