Thursday 09 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হোটেলে চিকিৎসক-নার্সদের বিল বকেয়া, শোধ করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২১ জুন ২০২১ ১৪:৩৮ | আপডেট: ২১ জুন ২০২১ ১৪:৩৯

ঢাকা: করোনাকালীন রাজধানীর ৩০টি হোটেলের চিকিৎসক, নার্স, এবং স্টাফদের কোয়ারেনটাইন ও খাবারের বকেয়া বিল পরিশোধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে হোটেল মালিকরা। চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে বিল পরিশোধ না করলে কঠোর কর্মসূচির দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

সোমবার (২১জুন) সকাল ১১টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিহা) ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে বিহার কো-চেয়ারম্যান মো. খালেদ উর রহমান বলেন, ‘গত বছরের মার্চ মাসে চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীদের হোটেল কোয়ারেনটাইনে থাকার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আমরাও এগিয়ে আসি। গত বছরের জুন, জুলাই, অগাস্ট ও সেপ্টেম্বর চার মাস তাদের জন্য ৩০টি হোটেল কোয়ারেনটাইনের ব্যবস্থা করা হয়। ঢাকা মেডিকেলের সঙ্গে চুক্তি হয় ১০দিন করে আমাদের বিল পরিশোধ করা হবে। তখন আমরা করোনাযোদ্ধা হিসেবে তাদের সেবা দেই। কিন্তু আমরা বিল পাইনি।’

তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনের কারণে ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইট বন্ধ, এজন্য ফরেন গেস্ট নির্ভর আমাদের ব্যবসা বন্ধের পথে। স্টাফদের বেতন দিতে পারছি না। হোটেলের অন্য বিলও দিতে পারছি না। তারাও নোটিশ দিচ্ছে, সব সার্ভিস ডিসকানেক্ট করে দিচ্ছে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিল পরিশোধ না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’

মানববন্ধনে বিহার সহ সভাপতি এটিএম সাইদুল আলম বলেন, ‘গত বছরের জুন থেকে আগস্ট এই ৪ মাসের বিল বকেয়া ছিল। এর মধ্যে শুধু জুন মাসের বিলটা আমরা পেয়েছি। বাকি ৩ মাসের প্রায় ৪০ কোটি টাকা বিল পাইনি। গত ১১ মাস ধরে এই বিলের জন্য ঘুরছি। এজন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

বিজ্ঞাপন

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো লিগ্যাল একশনে যাবো না। সরকারের কাছে অনুরোধ আমরাও যাতে বাঁচি, দেশও যাতে বাঁচে। আমাদের বকেয়া বিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কেন দিচ্ছে না আমরা জানি না।’

মানববন্ধন শেষে তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিচালকের কাছে স্মারকলিপি দেন।

ঢামেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘পদ্ধতিগত কারণে বিল দিতে আমাদের বিলম্ব হচ্ছে। আমরা আশা করছি চলতি মাসে বকেয়া বিল পরিশোধ করা হবে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। এর আগেও গোয়েন্দা সংস্থা এ নিয়ে তদন্ত করে দেখেছে।’

হাসপাতালের উপ পরিচালক ডা. আলাউদ্দিন আল আজাদ বলেন, ‘হোটেল বিলের এই পরিমান বকেয়া টাকা সচিব মহোদয়ের পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। তিনি ৫ কোটি টাকার বেশি অনুমতি তিনি দিতে পারেন না। এখন যেই পরিমান টাকা ব্যয় হয়েছে তা মন্ত্রিপরিষদের অনুমতি ছাড়া দেওয়া সম্ভব না। তাদের অনুমতি পেলেই হোটেল মালিকদের আমরা বিল দিয়ে দিব।’

সারাবাংলা/এসএসআর/এমও

চিকিৎসক-নার্স টপ নিউজ বিহা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর