এখনও প্রতিরাতে প্রধানমন্ত্রীর জন্য বাতি জ্বালান বীরাঙ্গনা শীলা
২০ জুন ২০২১ ১৩:৫০ | আপডেট: ২০ জুন ২০২১ ১৭:১৮
ঢাকা: আশ্রয়হীন, গৃহহীন বীরাঙ্গনা শীলা গুহ কাঁদালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দ্বিতীয় ধাপে উপকারভোগীদের কাছে ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সিলেটের জেলার একটি উপজেলায় উপকারভোগী বীরাঙ্গনা শীলা গুহের সঙ্গে কথা বলার সময় আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
রোববার (২০ জুন) সকালে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের (২য় পর্যায়) উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও ৪৫৯টি উপজেলা সংযুক্ত ছিল। কয়েকটি উপজেলায় যুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
গত জানুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ে ৭০ হাজার পরিবারকে ঘর প্রদানের পর দ্বিতীয় পর্যায়ে একসঙ্গে আরও প্রায় ৫৩ হাজার ৩৪০টি অসহায় পরিবারকে ঘর দিচ্ছে সরকার। এছাড়াও আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও ১ লাখ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা থেকে বীরাঙ্গনা শীলা গুহ বলেন, ‘আমি ঘরে পেয়ে খুবই খুশি। আগে ছিলাম রাস্তার ভিখারি। এখন আমি লাখপতি। বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্যই এটা পেয়েছি। ভগবান তাকে দীর্ঘজীবী করুক।
বঙ্গবন্ধু ও তার সহধর্মিণীর আত্মার শান্তি কামনা করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে এই বীরাঙ্গনা বলেন, আমি আপনার জন্য এখনো একটি করে দুই টাকার বাতি জ্বালাই। আমি প্রতিদিন বাতি জ্বালাই কারণ আমার বোন যাতে সুখে থাকে, আমার বোনকে যেন করোনা ভাইরাসে আক্রমণ করতে না পারে। আমার বোন যাতে হাজার বছর বাঁচে। সেই কামনা করি।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনি আমাকে যে ঘর দিয়েছেন, সেই ঘরে একটিবার আসবেন। আমি আপনাকে সাতকড়া দিয়ে তরকারি রান্না করে খাওয়াবো।
এ সময় আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্না করতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনি খুব ভালো বক্তব্য রাখছেন। আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নেবেন। বোন আমি যদি সুযোগ পাই, নিশ্চয়ই আমি আসার চেষ্টা করব।
গণভবন প্রান্তে অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। তিনি জানান, একসঙ্গে এত মানুষকে বিনামূল্যে বাড়িঘর দেওয়ার ঘটনা পৃথিবীতে নজিরবিহীন বলে অভিহিত করেন। বিভিন্ন দেশে ভূমিহীন, গৃহহীনদের ঘর-বাড়ি নির্মাণের জন্য সুদবিহীন ঋণ দেওয়ার নজির থাকলেও ভূমিহীন-গৃহহীনদের ডেকে তাদের বাড়ি-ঘর দেওয়ার নজির আর নেই বলে অবহিত করেন।
সারাবাংলা/এনআর/এএম