Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আরব দেশেগুলোতে যাওয়ার অযৌক্তিক বিমানভাড়া কমাতে মানববন্ধন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৯ জুন ২০২১ ১৮:১২ | আপডেট: ১৯ জুন ২০২১ ১৮:১৩

ঢাকা: ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৮/২২ হাজার টাকা বিমান ভাড়ায় আরবের দেশগুলোতে যাওয়া গেলেও বাংলাদেশ থেকে ওইসব দেশে যেতে গুনতে হচ্ছে ৭০/৯০ হাজার টাকা। অনতিবিলম্বে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য বিমান টিকেটের অযৌক্তিক দাম কমাতে মানববন্ধব করেছে রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদ।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শনিবার (১৯ জুন) বিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের মানববন্ধবে দেশের বৈদেশিক শ্রম বাজার রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী বরাবর চার দফা দাবি পেশ করা হয়। রিক্রটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান, মহাসচিব আরিফুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা মানবন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বিমানের টিকেটের অযৌক্তিক দাম কমানোর আবেদন জানিয়ে বক্তারা মানববন্ধনে বলেন, আমরা চাই, সরকার নির্ধারিত খরচে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসংস্থান করুক। বর্তমানে সৌদিসহ আরব দেশ সমূহের এয়ার টিকেটের দাম বাংলাদেশ বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্স অযৌক্তিকভাবে তিন থেকে চারগুণ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। দেশের হাজার হাজার কোটি ডলার কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশি এয়ারলাইন্স দেশ থেকে নিয়ে যাচ্ছে।

তারা আরও বলেন, ভারত,পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা থেকে ১৮/২২ হাজার টাকা বিমানভাড়ায় আরব দেশগুলোতে যাওয়া গেলেও বাংলাদেশ থেকে একই গন্তব্যে এয়ার টিকেটের দাম ৭০/৯০ হাজার টাকা। অবিলম্বে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য লেবার ফেয়ার নির্ধারণ ও সেটির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন দেখতে চাই। এছাড়া জনশক্তি প্রেরণ খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হোক। রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদেরকে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হোক।

বিজ্ঞাপন

মানববন্ধনে বলা হয়, ১৯৭৬ সাল হতে এখন পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৩৩ লাখের বেশি নারী-পুরুষ রেমিট্যান্স যোদ্ধা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ পেয়েছে। এক কোটির অধিক রেমিট্যান্স যোদ্ধার কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অবদান অসামান্য। বর্তমানে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে জনশক্তি প্রেরণ খাত তথা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো শত শত কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতিতে পড়েছেন। যে খাত থেকে বছরে ২২ মিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়, সেই খাত যুগ যুগ ধরেই অবহেলিত অবস্থায় রয়েছে।

মানববন্ধনে আরও বলা হয়, এই খাতকে শিল্প হিসেবে অন্তর্ভুক্ত না করায়, রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। জনশক্তি প্রেরন খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করা হলে ভবিষ্যতে সম্ভাবনাময় এই সেক্টর হতে রেকর্ড বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রা তথা প্রধানমন্ত্রীর ভিশন খুব সহজেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। আমরা অবিলম্বে জনশক্তি প্রেরণ খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করার জোর দাবি জানাচ্ছি।’

স্মার্টকার্ড গ্রহণ করে বৈধভাবে কর্মী পাঠানোর পরও মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়ে বলা হয়, ‘রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সরকারের যথাযথ বিধিবিধান প্রতিপালসহ বিএমইটি প্রদত্ত স্মার্টকার্ড গ্রহণ করে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের কর্মসংস্থান করে থাকে। পাসপোর্ট, ট্রেনিং সেন্টার ,ভিসা সত্যায়নে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস, মন্ত্রণালয় বা বিএমইটির যাচাই-বাছাই অনুমোদনসহ একজন কর্মীকে পাঠাতে বিভিন্ন কতৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা থাকলেও অমানবিকভাবে শুধুমাত্র রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর শত শত মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে মানবপাচার আইনের জামিন অযোগ্য ধারায় জেল জুলুম হয়রানির স্বীকার হতে হয়। আমরা এই হয়রানি বন্ধ চাই।

সব রিক্রুটিং এজেন্সিকে বাংলাদেশ ও ফরেন দূতাবাসগুলোতে তালিকাভুক্ত করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ২০০০ বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি রয়েছে। বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে তালিকাভুক্ত হতে তাদের নানা ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। ঢাকাস্থ সৌদি দূতাবাসসহ বিভিন্ন দূতাবাসে দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ রিক্রুটিং এজেন্সি শত চেষ্টা করেও অদৃশ্য কারণে তালিকাভুক্ত হতে পারছে না। আমরা চাই, সরকার অনুমোদিত সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি, বিএমইটি ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও বহিঃবিশ্বের সকল দূতাবাসে অবিলম্বে তালিকাভুক্ত করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হোক।

সারাবাংলা/জেআইএল/পিটিএম

অযৌক্তি বিমান ভাড়া আরব দেশ মানববন্ধন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর