স্বাভাবিক নিয়ম ফিরেছে সচিবালয়
১৭ জুন ২০২১ ১৬:৫৪
ঢাকা: সচিবালয়ের দাফতরিক কাজকর্মে চাঞ্চল্যতা ফিরেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের বিধিনিষেধ মানতে গত প্রায় আড়াই মাস ধরে অর্ধেক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়ে চলছি প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি মন্ত্রণালয়েই কর্মকর্তা কর্মচারীদের শতভাগ উপস্থিতি। অফিস করেছেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিবসহ সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অফিস করতে দেখা গেছে।
প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার সারাবাংলাকে বলেন, ‘যদিও প্রায় শতভাগ উপস্থিতি আগে থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিলো। কারণ একজন বিভাগ বা দফতরের প্রধান যখন কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত থাকেন তখন স্বাভাবিকভাবে তার অধিনস্তদেরও উপস্থিত থাকতে হয়। কারণ সবাইকে নিয়েই কাজ এগিয়ে নিতে হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ (১৭ জুন) থেকে অফিসিয়ালি শতভাগ উপস্থিতি হয়েছে। সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো কাজ শুরু করেছেন।’
প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ৫ এপ্রিল বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেই থেকে জরুরি সেবা দেওয়া দফতর/অধিদফতর, বিভাগ, মন্ত্রণালয়গুলো সীমিত পরিসরে জনবল নিয়ে চলছিল। এই সময়ে বেশিরভাগ মন্ত্রণালয়ই বন্ধ ছিলো। অধিকাংশ কর্মকর্তা বাসা থেকে অফিস করেছেন।
ধাপে ধাপে বিধিনিষেধ শিথিল করে শপিং মল, দোকান-পাট, গণপরিবহন শর্ত মেনে খুলে দেওয়া হয়। সবশেষ মঙ্গলবার ১৬ জুন বিধিনিষেধ এক মাস বাড়িয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরকারি- বেসরকারি অফিস খুলে দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নতুন নির্দেশনা পাওয়ার পর আগের মতো কর্মমুখর দেখা গেছে সচিবালয়ের প্রতিটি স্থানে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এখন থেকে তাদের ফোর্সেও লোক বাড়ানো হয়েছে। নতুন ডিউটি শিডিউল করা হয়েছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের সামনে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান পানি রাখা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষেধ বলে ব্যানার ফেস্টুন টাঙানো রয়েছে।
এদিকে দর্শনার্থী প্রবেশে এখনো কঠোরতা রয়েছে। দর্শনার্থী প্রবেশে পাস ইস্যু বন্ধ থাকলেও এক ও দুই নম্বর গেটের মধ্যবর্তী অভ্যর্থনা কক্ষে মানুষের ভিড় লেগে রয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও এক মাস বাড়িয়ে বুধবার (১৬ জুন) প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এতে বলা হয়, সব সরকারি বেসরকারি স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, সব ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা থাকবে।
সারাবাংলা/জেআর/এমও