গুলশান কমিউনিটি ক্লাবে মদ খেয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ পরীমনির বিরুদ্ধে
১৬ জুন ২০২১ ২১:০২ | আপডেট: ১৭ জুন ২০২১ ০০:২৮
ঢাকা: রাজধানীর গুলশান-১ এলাকায় অবস্থিত অল কমিউনিটি ক্লাবে নায়িকা পরীমনি মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় অসদাচরণ ও ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযোগ করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
বুধবার (১৬ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাবের সভাপতি কে এম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
জানা যায়, গত ৭ জুন রাতে পরীমনি ও তার সাথে দুই জন ক্লাবে প্রবেশ করেন। সেখানে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে ক্লাব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাজেহাল করেন এবং ভাঙচুর চালান। এরপর তিনি পুলিশের সামনেই বের হয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান।
সাংবাদিকদের সেদিনের ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করে কে এম আলমগীর বলেন, ৭ জুন রাতে ক্লাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ২-৩ জন ছিলেন, তারাও চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ক্লাবের একজন সদস্য ফোন রেখে বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সদস্য দুজন নারী ও একজন পুরুষ অতিথিকে নিয়ে ক্লাবে আসেন। ক্লাবের নিয়ম অনুযায়ী ড্রেস কোড রয়েছে। পুরুষ যে অতিথি ছিলেন তিনি হাফ প্যান্ট পরিহিত ছিলেন। এজন্য ক্লাবের সিকিউরিটি বাধা দিয়েছেন। এরপরও তারা উপরে বারে উঠেন। ক্লাব বন্ধ হয়ে গেলে কোনো সার্ভিস দেওয়া হয় না। এরপরেও তারা যেহেতু প্রথমবার ক্লাবে এসেছেন সেজন্য দুজন তাদের সার্ভিস দিয়েছেন। কিন্তু তারা সেটি এনজয় না করে মাতাল হয়ে ৯৯৯ কল করে পুলিশ ডেকেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ এসে দেখেছেন তারা ভাঙচুর করছেন। ১৫টি গ্লাস, ৯টি এসট্রে ও বেশ কয়েকটি হাফ প্লেট ভেঙেছে পরীমনি। পুলিশ কেন ডেকেছেন জানতে চাইলে পরীমনি বলেন, ক্লাবের লোকজন আমাদের হেনস্তা করেছেন। তখন পুলিশ বলেছে, কোথায় কিভাবে হেনস্তা করেছেন, তার তো কোনো প্রমাণ নেই। আর ভাঙচুর তো আপনারাই করছেন। এরপর উপরের মহলের অনুমতি নিয়ে পুলিশ সদস্যরা পরীমনিসহ অতিথিদের ক্লাব থেকে বের করে দেন। তারা চলে যান। ওই ঘটনার পর ক্লাব কর্তৃপক্ষ থানায় কোনো অভিযোগ করেননি।
ক্লাবের আইন অনুযায়ী যে সদস্য পরীমনিদের নিয়ে এসেছিলেন তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ক্লাব সভাপতি বলেন, ওই সদস্য ইতোমধ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। হাত জোর করে মাফ চেয়েছেন। জীবনে এরকম কোনো ভুল হবে না মর্মে লিখিতও দিয়েছেন। এজন্য আপাতত তার বিরুদ্ধে আর কোনো অ্যাকশন নেওয়া হয়নি। আগামী মিটিংয়ে তার বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ক্লাবের পক্ষ থেকে কোনো জিডি করা হয়নি। আমরা জিডি করতেও চাই না। এর কারণ হচ্ছে এতে আমাদের ক্লাবেরই সম্মান ক্ষুন্ন হবে।
এদিকে গুলশান থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ একটি জিডি করেছে। এই জিডি কারও বিরুদ্ধে করা হয়নি। তবে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা করা হয়েছে ওই জিডিতে। বর্ণনায় বেশ কয়েক জায়গায় ক্লাবের সদস্য নয় এবং অনুপ্রবেশকারী হিসেবে পরীমনির নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পরীমনির ফোন বন্ধ থাকায় তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএসএ