Saturday 11 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৬ জুন ২০২১ ১৫:২৫ | আপডেট: ১৬ জুন ২০২১ ১৬:৩০

ঢাকা: ৫ লাখ মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, চীন থেকে আসা ১১ লাখ ভ্যাকসিন থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পাবে।

বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, চীনের ভ্যাকসিনের জন্য সকল কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে, তবে তারা কোনো কিছু জানায়নি। রাশিয়ার সঙ্গেও আলোচনা হচ্ছে ভ্যাকসিনের বিষয়ে। তাদের ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে দুয়েকদিনের মধ্যে ভালো খবর পাওয়া যাবে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা হচ্ছে, তবে ভ্যাকসিনের বিষয়ে তারা কোনো আপডেট জানায়নি।

তিনি বলেন, বিশ্বের উৎপাদনশীল দেশগুলোতে ভ্যাকসিনের সুষম বণ্টন নাই। চায়নার ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় আছি। আমাদের হাতে ১১ লাখ ভ্যাকসিন আছে। এগুলো আগামী ১৯ জুন থেকে ৫ লাখ মানুষকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেওয়া হবে। দ্বিতীয় ডোজ হাতে রেখেই ৫ লাখ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ১১ লাখ টিকা সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীসহ বিদেশগামী যাত্রী, সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের দেওয়া হবে। একইসঙ্গে দেশে ভ্যাকসিনের উৎপাদনের জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানেও উৎপাদনের চেষ্টা চলছে।

জাহিদ মালেক বলেন, করোনা পরীক্ষা বাড়াতে হবে। এখন ৫০০টি জায়গায় পরীক্ষা হচ্ছে। এটা আরও বাড়াতে হবে। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় ডাক্তার, নার্স নিয়োগের প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে। ২০ হাজার ডাক্তার-নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন আরও যেন নিয়োগ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া এবং চীনের ভ্যাকসিনের দামের বিষয়ে তাদের সঙ্গে গোপনীয়তার চুক্তি হয়েছিল, কিন্তু সেটা ভঙ্গ হওয়ায় এখন ভ্যাকসিন পেতে দেরি হচ্ছে। তাই এখন তাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিনের দাম নিয়ে কথা বলা হবে না। তা না হলে ভ্যাকসিন পেতে সমস্যা হবে।

চলতি বছরের আগস্টে কোভ্যাক্সের অ্যাস্ট্রাজেনেকার ১০ লাখ ভ্যাকসিন আসবে বলেও জানান তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সীমান্ত এলাকাসহ নোয়াখালী এবং মানিকগঞ্জ পর্যন্ত চলে আসছে। অর্থাৎ ঢাকার কাছাকাছি চলে আসছে। এখন সাবধান না থাকলে বিপদ হবে। করোনা সংক্রমণ এখন বেশি। সীমান্ত এলাকার আম ব্যবসায়ীদের জন্য সংক্রমণ বাড়তে পারে। যেখানে বাড়ছে সেখানেই লকডাউন দেওয়া হচ্ছে।

সারাবাংলা/জেআর/এসএসএ

টপ নিউজ ভ্যাকসিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর