Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসএসএফ প্রশিক্ষিত এবং দক্ষ হবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৫ জুন ২০২১ ১৪:৩১ | আপডেট: ১৫ জুন ২০২১ ১৭:০২

ঢাকা: প্রযুক্তির আধুনিকায়ন এবং অপরাধের ধরন পরিবর্তনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সবসময় চেষ্টা ছিল এই আধুনিক জগতের সঙ্গে তালমিলিয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) প্রশিক্ষিত হবে এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি পাবে। সেজন্য দেশে-বিদেশে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থার পাশাপাশি ভবিষ্যতে আরও সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি।

মঙ্গলবার (১৫ জুন) এসএসএফের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এক ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করছি। তাতে জীবন গতিশীল হচ্ছে, কর্মক্ষেত্র বিস্তৃত হচ্ছে। আমাদেরকে সুযোগ দিচ্ছে। পাশাপাশি অপরাধীরাও সুযোগ পাচ্ছে, জঙ্গীরাও সুযোগ পাচ্ছে।
তিনি বলেন, একেক একেক সময় একেক ধরনের সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের উৎপত্তি হয় এবং ধরণও পাল্টায়। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেমন আমরা আধুনিক জীবন মান উন্নত করতে পারি, আবার অপরাধীরাও যারা সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের সঙ্গে জড়িত তারাও কিন্তু এই প্রযুক্তিই ব্যবহার করে নতুনভাবে অপরাধ করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সবসময় চেষ্টা ছিল এই আধুনিক জগতের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এই বিশেষ বাহিনী, তারাও সেভাবে প্রশিক্ষিত হবে এবং তাদের দক্ষতাও বৃদ্ধি পাবে। সে জন্য দেশে-বিদেশে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং সেই সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও সুযোগ আমরা সৃষ্টি করে দিচ্ছি।

এসএসএফ’র দক্ষতার প্রশংসা করে শেখ হাসিনা বলেন, শুধু আমাদের দেশের রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী নয়, বিদেশি অতিথিরা আসলেও তাদের নিরাপত্তা দেওয়া একটা কঠিন দায়িত্ব। তবে আমি ধন্যবাদ জানাই, অভিনন্দন জানাই, যখনই যিনি এসেছেন আমাদের এসএসএফ সদস্যরা এত চমৎকারভাবে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছেন যে তাদের (বিদেশি অতিথি) প্রত্যেকেই প্রশংসা করেছেন। সকলেই এসএসএফ সদস্যদের দক্ষতা এবং আন্তরিকতা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তি এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে এসএসএফের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৭ই মার্চ থেকে ২৬শে মার্চ; ১৭ই মার্চ জাতির পিতার ১০১তম জন্মদিন আর ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ৫০ বছর মাথায় রেখে আমরা ১৭ মার্চ থেকে ২৬শে মার্চ পযন্ত ব্যাপক কর্মসূচি নেই। সেখানে কয়েকজন রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানাই এবং এই সময়টায় একদিকে করোনাভাইরাসে স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং অপরদিকে আমন্ত্রিত অতিথি এবং সফরসঙ্গী তাদের নিরাপত্তা দেয়া, এটা কঠিন দায়িত্ব। আমি বলবো যে খুব বড় একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু সেই সময় এসএসএফ অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন এবং সমস্ত আয়োজনটা অত্যন্ত সুচারুভাবে আমরা করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে মুজিববর্ষ উদযাপন, সেটার সফলতার পেছনেও আমাদের এসএসএফ’র অনেক অবদান রয়েছে। কাজেই যে বাংলাদেশ মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যে জাতির পিতা স্বল্পোন্নত দেশ হিসাবে রেখে গিয়েছিলেন, আজকে সেই দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা আমরা পেয়েছি। সেটাও আমাদের ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে এবং আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে দারিদ্রের হার হ্রাস করা আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত হবে না।

অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের পক্ষ থেকে ১০০টি গৃহহীন পরিবারের জন্য ২ কোটি টাকার একটি ব্যাংক ড্রাফট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হস্তান্তর করেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান। মুজিববর্ষে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর স্মারক হিসেবে এসএসএফ’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. মজিবুর রহমান সম্পাদিত ‘মুজিব-বাঙালি-বাংলাদেশ’ নামে একটি ই-বুক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান এবং সরকার ঘোষিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গের নিরাপত্তার জন্য ১৯৮৬ সালে রাষ্ট্রপতি নিরাপত্তা বাহিনী গঠিত হয়। পরবর্তীতে এই বাহিনীকে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স হিসেবে নতুন নামকরণ করা হয়। বাংলাদেশ সেনা, নৌ, বিমান, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর প্রেষণে নিযুক্ত অফিসারদের নিয়ে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স গঠিত।

সারাবাংলা/এনআর/ এসএসএ

এসএসএফ প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর