ফেসবুকে ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশি রক্তদাতা সাইন আপ করেছে
১৫ জুন ২০২১ ০৮:৩২
ঢাকা: চলমান কোভিড-১৯ মহামারির কঠিন সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্লাড ব্যাংকগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন রক্তদাতার। এই বছরে বিশ্ব রক্তদাতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশের আরও অনেক মানুষকে রক্তদানে আগ্রহী করতে ফেসবুকের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ব্লাডম্যান।
দেশের মানুষকে স্থানীয় ব্লাডব্যাংকের সঙ্গে যুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে ২০১৮ সালে ফেসবুক ও ব্লাডম্যান যৌথভাবে ব্লাড ডোনেশন ফিচার চালু করে। আইসিটি ডিভিশনের সহযোগিতায় শুরু করা এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য ফেসবুক নোটিফিকেশনের মাধ্যমে মানুষকে জানানো কোথায় রক্তের স্বল্পতা আছে এবং কখন রক্ত দান করা নিরাপদ।
এখন পর্যন্ত ফেসবুকে রক্ত দানের নোটিফিকেশন পেতে সাইন আপ করেছে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি বাংলাদেশি। ২০১৭ সালে চালু হওয়া ফেসবুকের এই ফিচারটিতে এর মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১০ কোটিরও বেশি মানুষ রক্তদাতা হিসেবে সাইন আপ করেছে। মহামারির সময়ে জরুরি ভিত্তিতে রক্তের স্বল্পতা মেটাতে বিগত বছরে ফেসবুক এই ফিচারটি নতুনভাবে ২৬টির বেশি দেশে চালু করে।
‘ফেসবুকে আমরা চেষ্টা করছি অনলাইন কমিউনিটি গড়ে তোলার মাধ্যমে একটা ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসতে। করোনা মহামারির সময়ে ব্লাডম্যান ও দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে মিলে রক্তের সুরক্ষিত যোগান নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে ফেসবুক। আজকের এই বিশ্ব রক্তদান দিবসে, বাংলাদেশের সুস্থ ও রক্তদানে সক্ষম মানুষদের ফেসবুক ব্লাড ডোনেশন টুলে সাইন আপ করতে, নিজে রক্ত দিতে এবং অন্যদের রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে আমরা আহ্বান জানাই।’ বলেন সাবহানাজ রশিদ দিয়া, যিনি ফেসবুকের বাংলাদেশ বিষয়ক পাবলিক পলিসি দেখার দায়িত্বে আছেন।
রক্তদানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং দেশে রক্তদানের জন্য একটি নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সবাই ভূমিকা রাখতে পারে। তাই কমিউনিটি-ভিত্তিক রক্ত সংগ্রহের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকর করতে ‘ফেসবুক ইভেন্টস’ নামে একটি নতুন ফিচার চালু করেছে ফেসবুক। এর মাধ্যমে ব্লাড ব্যাংকগুলো তাদের প্রচার আরও নিকটস্থ করতে পারবে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মুজিবুল হক বলেন, মহামারির কারণে বাংলাদেশের হাসপাতাল এবং ব্লাডব্যাংকগুলো রক্ত সন্ধানে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। এই সময়ে ফেসবুকের ব্লাড ডোনেশন টুল ব্লাড ব্যাংকের সঙ্গে রক্তদাতাদের যোগাযোগ ডিজিটাইজ এবং আরও সহজ করে তুলেছে। রক্তদানের যোগাযোগ ব্যবস্থাটি ডিজিটালকরণ এবং রক্তদানে সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্লাডম্যান এবং ফেসবুককে ধন্যবাদ জানাই। তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের হাসপাতালের রোগীরা যুক্ত হয়ে প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনাকালীন সময়ে হাতের কাছে দ্রুততম সময়ে সেবা গ্রহণ করতে পারবে।’
উল্লেখ্য, রক্তদানের বিষয়ে আপনার নিকটস্থ ব্লাড ব্যাংকগুলো থেকে নোটিফিকেশন পেতে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের অ্যাবাউট সেকশনে ব্লাড ডোনেশনস ফিচারে যান। আরও জানতে, http://facebook.com/donateblood ভিজিট করুন।
সারাবাংলা/এসএসএ